আসন বণ্টনে 'শরিকি কাঁটা', Congress-র 'আবদার' মানতে নারাজ Left শরিকরা
বাংলায় বিজেপিকে জমি ছাড়া যাবে না বলে দুই শিবিরই একমত। তৃণমূলকে আক্রমণের প্রশ্নেও একসুর বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্যের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে কি এক হবে হাত-হাতুড়ি? সিপিএম (CPM) পলিটব্যুরো এবং কংগ্রেস হাইকমান্ড (Congress) ইতিমধ্যেই গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে। তারপরেও বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের (Left-Congress Alliance) পথে রয়ে গিয়েছে অন্তরায়। বৃহস্পতিবার আসন রফা নিয়ে প্রথমবার মুখোমুখি বসেই তা টের পেল দুই শিবির।
এদিন জোটের সলতে পাকাতে আলোচনায় বসেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra), প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান (Abdul Mannan), ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Bloc)নরেন চট্টপাধ্যায়, সিপিআইয়ের (CPI) স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরএসপি-র (RSP) মনোজ ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, বৈঠকে ১৪৫টি আসনের দাবি জানায় কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসকে এতগুলি আসন ছাড়তে নারাজ সিপিএম। শুধু তাই নয়, বাম শরিকদের যে এলাকাগুলিতে এখনও শক্তি রয়েছে, সেখানেও আসন দাবি করেছে কংগ্রেস। নিজেদের ক্ষতি করে কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ বাম শরিকরা (Left)। তাদের বক্তব্য, বাংলায় যে এলাকাগুলিতে শক্তি রয়েছে, সেগুলিও ছেড়ে দিলে দলের আর অস্বস্তি থাকবে না। কর্মী-সমর্থকরাও উৎসাহ হারাবেন। শরিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে জোটে অনাগ্রহী সিপিএমও। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেসের খাতায়-কলমে জোট হয়নি, তা ছিল নির্বাচনী সমঝোতা। সে কারণে বেশ কিছু আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইও হয়েছিল। ২০১৬ সালে সিপিএম লড়েছিল ১৪৮টি আসনে। ১১টি আসনে সিপিআই। আরএসপি ১৯টি আসনে। ফরওয়ার্ড ব্লক, ডিএসপি ও এনসিপি যথাক্রমে ২৫, ২ ও ১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
বাংলায় বিজেপিকে (BJP) জমি ছাড়া যাবে না বলে দুই শিবিরই একমত। তৃণমূলকে আক্রমণের প্রশ্নেও একসুর বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্যের। তবে আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও কণ্টকাকীর্ণ জোটের পথ। ২০১৯ সালে তো এই আসন রফা না হওয়াতেই ভেস্তে গিয়েছিল যাবতীয় আলোচনা। আলাদা আলাদা লড়াই করেছিল বাম-কংগ্রেস। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দুই শিবিরের শীর্ষ নেতাদের নমনীয় হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন জোটপন্থীরা।
আরও পড়ুন- Amphan-এ কমপ্লিট দুর্নীতি: Sujan, CM-র মদতে লুঠ: Jay Prakash
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে বা মার্চের শুরুতে ব্রিগেড সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,'আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে লড়াই করব। একসঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের কথাও বলব।' কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়,'সব দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব থাকবে। আমরাও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই সমাবেশে থাকার জন্য অনুরোধ করব।' তার আগে ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি যৌথ কর্মসূচি করতে চলেছে বাম-কংগ্রেস। ২৩ তারিখ মহাজাতি সদন থেকে মিছিলে হাঁটবেন নেতারা।
আরও পড়ুন- Soumendu-র পর Dibyendu-Sisir-ও BJP-র পথে? বড় ইঙ্গিত Abhishek-র