রাজ্যে ISIS হামলার চক্রের মূল মাথা এখনও অধরা
বানচাল হয়েছে রাজ্যে হামলার ছক। সিআইডির জালে সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গি মুসা ও তার দুই সঙ্গী। কিন্তু, হামলার পিছনে মূল মাথা এখনও অধরা। মুসাকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসে সিআইডির তদন্তকারীদের। বন্দর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিই রাজ্যে ISIS কিংপিন। আপাতত তাকে ট্র্যাক করাই টার্গেট গোয়েন্দাদের। গ্রেফতারের পর থেকে মসিউদ্দিনকে লাগাতার জেরা করছে সিআইডি। জেরা যত এগোচ্ছে, ততই দৃঢ় হচ্ছে মুসার ISIS যোগ।
ওয়েব ডেস্ক : বানচাল হয়েছে রাজ্যে হামলার ছক। সিআইডির জালে সন্দেহভাজন ISIS জঙ্গি মুসা ও তার দুই সঙ্গী। কিন্তু, হামলার পিছনে মূল মাথা এখনও অধরা। মুসাকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসে সিআইডির তদন্তকারীদের। বন্দর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিই রাজ্যে ISIS কিংপিন। আপাতত তাকে ট্র্যাক করাই টার্গেট গোয়েন্দাদের। গ্রেফতারের পর থেকে মসিউদ্দিনকে লাগাতার জেরা করছে সিআইডি। জেরা যত এগোচ্ছে, ততই দৃঢ় হচ্ছে মুসার ISIS যোগ।
আরও পড়ুন-টার্গেট কিলিংকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক ISIS-এর!
নাশকতা চালাতেই রাজ্যে ফিরছিল মসিউদ্দিন। প্রাথমিক জেরার পরই নিশ্চিত হয়ে যান CID তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার CID-RAW ও সেন্ট্রাল আই বি-র রাতভর জেরায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর আরও তথ্য।
তদন্তে জানা গেছে, মসিউদ্দিন বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করত। অ্যাপের মাধ্যমেই সিরিয়ার হ্যান্ডলার সফি আরমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত মুসা। চ্যাটে কথাবার্তার পর মুসা চ্যাট হিস্ট্রি মুছে দিত। সেই চ্যাট হিস্ট্রি পুনরুদ্ধার করে দু'জনের মধ্যে কী কথাবার্তা হত তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এখানেই শেষ নয়, চ্যাট হিস্ট্রি থেকে এরআগে IS যোগে ধরা পড়া আশিক আহমেদ ও নাফিস খানের সঙ্গে মুসার কোনও যোগ ছিল কীনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। চ্যাট হিস্ট্রির বাইরেও আইএস যোগের সূত্র খুঁজতে বুধবার মুসার তামিলনাড়ুর বাড়িতে হানা দেয় সিআইডির বিশেষ দল। গত ৫ বছর ধরে স্ত্রী ও ২ ছেলেকে নিয়ে তামিলনাড়ুতে থাকত মসিউদ্দিন।
তামিলনাড়ু পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে মসিউদ্দিনের তিরুপুরের RBR নগরের বাড়িতে তল্লাসি চালায় সিআইডি। উদ্ধার হয় ১৮ ইঞ্চির তরোয়াল, ল্যাপটপ,পেনড্রাইভ , এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক ও প্রিন্টার, ল্যাপটপ থেকে মুসার IS যোগের জোরালো প্রমাণ মেলে। মুসার স্ত্রীকেও লাগাতার জেরা করছে NIA ও CID।
মসিউদ্দিন একা নয়। এরাজ্যে নাশকতা চালাতে তার দোসর ছিল আরও কয়েকজন। সোমবার রাতেই আহমদপুর থেকে আটক করা হয় মুসার দুই সঙ্গী সাদ্দাম হোসেন ওরফে শেখ কালো ও মহঃ আব্বাসউদ্দিন ওরফে আমিনকে। লাভপুরের বিডিওপাড়ার দুই বাসিন্দাকে লাগাতার জেরার পর গ্রেফতার করে সিআইডি। দুজনের সঙ্গেই IS-র জোরালো যোগের প্রমাণ মিলেছে। হামলার পরিকল্পনায় মুসার সঙ্গী আরও ৩ যুবকের হদিশ মিলেছে। শেখ চন্দন সহ দুজনকে ভবানী ভবনে নিয়ে এসে জেরা করে সিআইডি।
যোগ প্রমাণ হওয়ায় মুসা, শেখ কালো ও মহঃ আমিনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করেছে সিআইডি। মুসার ১৪দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।