বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ, বামপন্থীদের দলে যোগ দেওয়ার আহ্বানে দলের রাজনৈতিক লাইন স্পষ্ট করলেন মমতা
বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ। ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের শহিদসভায় দলের কর্মীদের কাছে রাজনৈতিক লাইন স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল্যবোধ সম্পন্ন বামপন্থীদের তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কংগ্রেসের সম্পর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি তৃণমূল নেত্রী। এদিনের সমাবেশেই অবশ্য কংগ্রেসের তিন ও সিপিআইএমের এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন।
কলকাতা: বিজেপিই প্রধান প্রতিপক্ষ। ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের শহিদসভায় দলের কর্মীদের কাছে রাজনৈতিক লাইন স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল্যবোধ সম্পন্ন বামপন্থীদের তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কংগ্রেসের সম্পর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেননি তৃণমূল নেত্রী। এদিনের সমাবেশেই অবশ্য কংগ্রেসের তিন ও সিপিআইএমের এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিলেন।
রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে আত্মপ্রকাশের পরের তিন দশক সিপিআইএমই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পয়লা নম্বর প্রতিপক্ষ।
কিন্তু, ক্ষমতায় বসার তিন বছরের মাথায় বদলে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক বাস্তবতা। এদিনের সভায় সিপিআইএম নামোচ্চারণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামপন্থীদেরও জন্যও তাঁর গলায় সমবেদনার সুর।
কংগ্রেসের জন্যও বরাদ্দ ছিল সম্পূর্ণ উপেক্ষা। এই মঞ্চেই কংগ্রেস ও সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে এলেন চার বিধায়ক। আর মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন তাঁর পয়লা নম্বর প্রতিপক্ষ এখন কে।
মোদী হাওয়ায় ভর করে, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে বিজেপি। সেই ফলের ভিত্তিতে রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল এখন তারাই। বিজেপির উত্থান যে তৃণমূল নেত্রীকেও চিন্তায় রেখেছে তা বোঝা গেল ধর্মতলার সভায়। লোকসভা নির্বাচনের শেষদফার প্রচার থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। সোমবার সেই অবস্থানকেই দলের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক লাইন হিসেবে তুলে ধরলেন তিনি।