২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলের শুদ্ধিকরণের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
২১ জুলাইয়ের সমাবেশে দলে কার্যত শুদ্ধিকরণের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে কড়া বার্তা দিলেন। শিল্পে দাদাগিরি থেকে সিন্ডিকেটের নামে তোলাবাজি। শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। দলের মধ্যে কাজের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের উঠে আসার আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী।
কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে দলে কার্যত শুদ্ধিকরণের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে কড়া বার্তা দিলেন।
শিল্পে দাদাগিরি থেকে সিন্ডিকেটের নামে তোলাবাজি। শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। দলের মধ্যে কাজের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের উঠে আসার আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। দলের কর্মীদের জন্য কড়া বার্তা তৃণমূল নেত্রীর। বলে দিলেন কী করতে হবে আর কী করা যাবে না।
সাফ জানালেন ''মানুষের পাশে থাকতে হবে, খারাপ কাজ করবেন না। কোনও লবি করা যাবে না।''
পঁচিশ মিনিটের বক্তব্য। তার মধ্যে বেশিরভাগটাই ছিল দলের কর্মীদের জন্য বার্তা।
দলের শহিদ দিবসের মঞ্চে কেন এ কথা বলতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে?
গত তিন বছরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কয়েকগুণ বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তোলাবাজি, দাদাগিরি। শিল্পপতিদের চমকানো অথবা সিন্ডিকেটের জুলুম এখন রোজই খবরের শিরোনামে। একইসঙ্গে, দলের মধ্যে চলছে ক্ষমতার অলিন্দে আসার তীব্র লড়াই। আর সেই লড়াই থামাতেই যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাতলে দিলেন নেতা হওয়ার ফরমুলা।
বার্তা তো দিলেন। আগেও দিয়েছেন। কিন্তু, কাজ কী হবে? সত্যিই কি নিজেদের শুধরোবেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বই বা কতটা কঠোরভাবে পালন করবে সর্বোচ্চ নেত্রীর অনুশাসন। বড় প্রশ্ন এটাই।