কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থার পরেও বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী
১৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হতে পারে বিধাননগর পুরনিগমে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলররা। তার পরদিন আজ-ই বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলররা।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ ছিল বিধাননগর পুরনিগমে বোর্ড মিটিং। সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতিতেই শুরু হয় বৈঠক। চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর পাশেই বসতে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। গত মাসে এই মিটিংয়ে ২৫ জন কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। আজ অবশ্য যোগ দেন সব কাউন্সিলরই। প্রসঙ্গত, গতকাল-ই সাংবাদিক বৈঠকেই সব্যসাচী দত্ত স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “দায়িত্বে যতদিন থাকব, পুরনিগমে আসব।"
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে। সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে মুখবন্ধ খামে চেয়ারপার্সনকে চিঠি দেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। সেই চিঠিতে সই করেন ৩৫ জন কাউন্সিলর। সূত্রে খবর, ১৮ জুলাই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হতে পারে।
তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার সব্যসাচী দত্ত বলেন, “পুর আইন অনুযায়ী অনাস্থা আনা যেতে পারে। আইনে যা আছে, তাই হবে, তার বাইরে কিছু হবে না। অনাস্থা আসতেই পারে, এরপর ভোট হয়, সেটা সিক্রেট ব্যালটে ভোট হয়, সেখানেই দেখা যাক কী হয়!”
আরও পড়ুন, 'অর্জুনদার বারণ শুনিনি', কাঁচড়াপাড়ার 'সার্কাস' নিয়ে বাবার মতো ভুলস্বীকার শুভ্রাংশুরও
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “দায়িত্বে যতদিন থাকব, পুরনিগমে আসব। তবে এখনই এবিষয়ে কিছু বলব না। আমার সঙ্গে কারোর কথা হয়নি।” আরও বলেন, “১৯৯৫ সাল থেকে আমি এখানে পৌর প্রতিনিধি। যে দিন পৌর প্রতিনিধি হয়েছিলাম, বিরোধী দলে ছিলাম। যদি অনাস্থায় হেরে যাই, বিরোধী হিসাবে পৌর প্রতিনিধিত্ব করব।”