SUCI | Provash Ghosh: শক্তি সঞ্চয়ের জন্য কংগ্রেসের হাত ধরেছে সিপিএম; ওদের গোড়ায় গলদ, ব্রিগেডে বিস্ফোরক প্রভাস ঘোষ
SUCI | Provash Ghosh: প্রভাসবাবু বলেন, আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।। সিপিআই তখন আমাদের চামচিকেদের পার্টি বলে বিদ্রুপ করেছে। সব সহ্য করেছি
মৌমিতা চক্রবর্তী: ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে সিপিএমকে নিশানা করল এসইউসিআই। শিবদাস ঘোষের জন্ম শতবার্ষিকীতে প্রায় ৩৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করল এসইউসিআই। এসইউসিআইএর দাবি, ভোটের জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিএম। এমন একটি জোটে গিয়েছে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসও রয়েছে। সিপিআই, আরএসপিকেও একযোগ তোপ দাগেন এসইউসিআই নেতা প্রভাস ঘোষ। পাল্টা দিলেন সুজন চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন- নদী থেকে উদ্ধার বিপুল সার-বীজ-কীটনাশক, দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের দিকে
সমাবেশ সমর্থকদের সামনে প্রভাস ঘোষ বলেন, যারা সেদিন আমাদের বিদ্রুপ করেছিল সেই তিনটি দল আজ নিশ্চিহ্ন। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক আজ দুর্বল। সাতাত্তর সাল থেকে সরকার চালিয়েছে সিপিএম। আজ তাদের কী অবস্থা? রাজ্য শক্তি সঞ্চয়ের জন্য তারা আজ কংগ্রেসের হাত ধরছে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত সিপিএম ইন্ডিয়া জোটে যাওয়ার পর প্রভাস ঘোষের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগাগোড়া সিপিআইএম বিরোধিতা করে এসেছে এসইউসিআই। পুরনো লাইনে থেকেই ফের সিপিএম বিরোধিতা করলেন প্রভাস ঘোষ।
এখানেই থেমে থাকেননি প্রভাসবাবু। তিনি আরও বলেন, আমরা বিবেক বিক্রি করিনি। আমাকে কেনা যায়নি। না খেয়ে দিনের পর দিন থেকেছি।। সিপিআই তখন আমাদের চামচিকেদের পার্টি বলে বিদ্রুপ করেছে। সব সহ্য করেছি। ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি তখন আমাদের সঙ্গে বসত না। আমাদের সঙ্গে নাকি বসাই যায় না। খাদ্য, আশ্রয় জোটেনি তখন। কিন্তু আমরা আপোষ করিনি। এই পার্টি কোনও সরকারের জোরে নয়, কোনও এমএলএ-এমপির জোরে নয় মানুষের সমর্থনে এগিয়ে চলেছে। সিপিএম, সিপিআই এর ভূমিকা সম্পূর্ণ মার্কস বাদ বিরোধী। বন্ধু সেজে শত্রু শিবিরে ঠেলে দেয়। এরা আপন করতে জানেনা। এই পার্টির গোড়ায় গলদ। এদের নেতারা জ্ঞান, সৎ, পান্ডিত্য থাকা সত্ত্বেও মার্কাসবাদের মধ্যে নেই।। পদের মোহ রয়েছে এদের। একটা রেজল্যুশন পাঠ করেই শুধু পার্টি হয়না। সিপিএম নেতারা লেনিনের শিক্ষাকে গুরুত্ব দেন না।
এসইউসিআইয়ের সমাবেশ নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ৩৫ বছর পরে ব্রিগেডে এসইউসিআই সমাবেশ করছে সেটা সুখের ব্যাপার। আমাদের দিকে থেকে স্বাগতও জানানোই উচিত। আমাদের ওরা কেন টার্গেট করেছে তা ওরাই বলতে পারে। ওরা সর্বভারতীয় পার্টি তাই ওদের নিশানায় থাকা উচিত ছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। হয়তো আমাদেরকেই বেশি প্রাসঙ্গিক মনে করছে তাই হয়তো আক্রমণ করেছে। বিজেপির মতো একটি ফাসিস্ট দলকে তাড়াতে হবে। এতে সাবাইয়ের একমত হওয়ার কথা। আমরা তো এক্ষেত্রে বরাবরই আছে। মাঝ রাস্তায় তৃণমূল ঢুকেছে। ওদের আপত্তি থাকলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকা উচিত। তা করছে না এই কারণে যে ওরা ২০১১ সালের তৃণমূলের সাহায্য নিয়েই ওরা ভোটে জিতেছে। সেই সময় জোটেতে কংগ্রেসও ছিল।