YOGA: সারাদিন তরতাজা ও সুস্থ থাকতে চান? অভ্যাস করুন মাত্র এই কয়েকটি আসন...
শারীরিক অসুস্থতা থেকে মানসিক চাপ-- সব কিছ দূর করার একমাত্র সমাধান যোগাসন। নিয়মিত যোগাসন অনুশীলন করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে জীবনে আসবে সুস্থতা এবং স্বাছন্দ্য।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইদানীং সকলেই সদা কর্মব্যস্ত। ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। আর তার থেকে শারীরিক সমস্যার বাড়াবাড়ি। তবে এর মোকাবিলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অস্ত্র হল যোগাভ্যাস। ব্যস্ত কর্মসূচি থেকে কিছুটা সময় বের করে প্রতিদিন যোগাভ্যাস করতে হবে। বিশিষ্ট এক যোগাসন বিশেষজ্ঞ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, 'বেশিরভাগ মানুষ এখন ব্যস্ত জীবন যাপন করেন। ফলে প্রায় সকলেরই সময়ের অভাব। কিন্তু যোগাসনকে যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ করে নিই তবে তা আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। ১ ঘণ্টা করতে পারলে খুব ভালো। না করতে পারলে অন্তত ৩০ মিনিটও যদি যোগাসন করা যায় ,তবে শরীর ও মনের পক্ষে তা খুবই ভালো হবে।'
আরও পড়ুন: Week 9 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | জামাই যষ্টি থুড়ি ষষ্ঠী!
অসংখ্য যোগাসন। তা থেকে মূলত ৫টি যোগাসনের কথা এখানে বলা হচ্ছে। যা আমাদের শরীরের পেশিগুলিকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে। মানসিক চাপ কমাবে, আমাদের সারাদিন ধরে তরতাজা রাখবে।
চক্রবাকাসন
পিঠ এবং ঘাড়ের সমস্যা দূর করে এবং মনকে উদ্বেগমুক্ত হতে সাহায্য করে এই যোগাসন। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ ভালো রাখে। তবে অন্ত্বঃসত্তা থাকাকালীন এই আসন না করাই ভালো। আর যদি কারও হাড়ের কোনও সমস্যা থাকে তাঁরও এই আসন করার আগে সর্তক হওয়া উচিত।
অধোমুখাশ্বাসন
যেসব ব্যক্তিরা ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগের সমস্যায় জর্জরিত, তাঁদের জন্য এই আসন খুবই কার্যকরী। এই আসন প্রতিদিন করলে মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। যদি কেউ ওজন কমাতে চান তবে তাঁদের জন্যও এই আসন খুব কার্যকরী। এই আসন করার আগে কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, রেটিনার সমস্য়া আছে বা যাঁদের হাড়ের কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের এই আসন না করাই উচিত।
আরও পড়ুন: Horoscope Today: মেষের শক্তি, বৃষর ছুটির পরিকল্পনা; জানুন কেমন কাটবে আপনার দিন
ভুজঙ্গাসন
মেদহীন পেট পাওয়ার জন্য এই আসনের কার্যকারিতা অনস্বীকার্য। সামগ্রিক ভাবেই শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতেও এই আসন সাহায্য করে। এছাড়া পাকস্থলীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পিঠে আঘাত থাকলে, কারপাল টানেল সিন্ড্রোম থাকলে বা গর্ভাবস্থায় এই আসনটি এড়িয়ে চলা উচিত।
মালাসন
এই আসনটি কোমর এবং হাঁটুতে ব্যথা থাকাকালীন না করাই উচিত। আসনটি করলে শরীরের নীচের অংশের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পিঠের সব ধরনের ব্যথা কমাতে এবং ঘাড় ও গোড়ালি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই আসন। স্কোয়াট হল এমন এক আসন যা হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমারও সুযোগ পায় না।