এবার ইয়েদুরাপ্পাকে দুষে দুর্নীতিবিরোধী জেহাদ আডবাণীর
কর্নাটকের সীমানা পার হয়ে তাঁর জনচেতনা রথ গোয়ায় ঢোকার পরই লালকৃষ্ণ আডবাণীর গলায় উঠে এল বিএস ইয়েদুরাপ্পার নাম। কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই বিজেপির লৌহপুরষ জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পাকে অপসারিত করেছে দল।
কর্নাটকের সীমানা পার হয়ে তাঁর জনচেতনা রথ গোয়ায় ঢোকার পরই লালকৃষ্ণ আডবাণীর গলায় উঠে এল বিএস ইয়েদুরাপ্পার নাম। কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই বিজেপির
লৌহপুরষ জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পাকে অপসারিত করেছে দল। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের কোনও `মনস্তাপ` নেই বলেও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিগত তিন দিন ধরে বিজেপি শাসিত কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় চেতনা রথ নিয়ে সফর করেছেন আডবাণী। করেছেন, একের পর এক জনসভা। সেখানে ইউপিএ জমানার নানা আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বিজেপির নেতা কর্মীদের কাছে দলীয় আদর্শের কথা তুলে ধরে প্রলোভন সংবরণের পরামর্শও দিয়েছেন। কিন্তু একবারের জন্যও ইয়েদুরাপ্পা, এসএন কৃষ্ণাইয়া, জনার্দন রেড্ডির মতো দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নেতাদের নাম শোনা যায়নি তাঁর মুখে।
তা হলে হঠাত্ কেন কংগ্রেস শাসিত গোয়ার মাটিতে নতুন করে আত্মসমালোচনার সূর আডবাণীর গলায়? রাজনৈতিক মহলের মতে, ইয়েদুরাপ্পা শিবিরের সহায়তা ছাড়া কর্নাটকের মাটিতে জনচেতনা যাত্রা কতটা সফল হবে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন গান্ধীনগরের অশীতিপর বিজেপি সাংসদ। আর তাই জমি কেলেঙ্কারিতে ধৃত শিকারিপুরার লিঙ্গায়েত নেতার নাম উহ্য রেখেই কন্নড় মুলুকে দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচির ইতি টানেন তিনি।