বিজেপি-যোগ প্রমাণিত হলে ইস্তফা দিয়ে দেবো, CWC বৈঠকে সুর চড়ালেন গুলাম!
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল টুইট করে জানান, রাহুল বলছেন আমাদের বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। গত ৩০ বছরের কেরিয়ারে এমন মন্তব্য তাঁকে শুনতে হয়নি বলে আক্ষেপ করেন সিব্বল
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শুরুতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোনিয়ার গান্ধীর উদ্দেশে দেওয়ার ২৩ নেতা-মন্ত্রীর একটি চিঠি নিয়ে। ওই নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপি যোগসাজশের অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, তাঁর এই মন্তব্যে কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদের মতো প্রবীণ নেতারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধী যা অভিযোগ করছেন, তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে ইস্তফা দেবেন। কপিল সিব্বলও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টুইটে।
বৈঠকের শুরুতেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তাঁর পরিবর্তে অন্য কাউকে সভাপতি নির্বাচিত করা হোক। অসুস্থতার কারণে তিনি আর এই পদে থাকতে চান না বলে সূত্রের খবর। সোনিয়ার ওই চিঠি পড়ে শোনান কে সি বেণুগোপাল। এরই মধ্যে রাহুল গান্ধী সরব হন সোনিয়াকে দেওয়া গত ৭ অগস্টের চিঠি নিয়ে। সূত্রের খবর, তিনি জানান, এই ধরনে চিঠি দেওয়া সঠিক সময় নয়। যেখানে রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে দলে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, যেখানে সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ, সেখানে এ ধরনের চিঠি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি অভিযোগ করেন, অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল টুইট করে জানান, রাহুল বলছেন আমাদের বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। গত ৩০ বছরের কেরিয়ারে এমন মন্তব্য তাঁকে শুনতে হয়নি বলে আক্ষেপ করেন সিব্বল। উল্লেখ্য, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নন সিব্বল। তবে, রাহুলের এমন মন্তব্য দলের মধ্যে বিভাজন আরও উস্কে দিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাহুলের বিজেবি মন্তব্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।
আরও পড়ুন- ‘হাতের’ দায়িত্ব কার হাতে? গান্ধী না অগান্ধী! ফয়সলা কিছুক্ষণের মধ্যেই
সোনিয়াকে দেওয়া চিঠিতে গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল ছাড়াও নাম রয়েছে আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, মিলিন্দ দেওয়ার, ভূপিন্দ্র সিং হুডা, পৃথ্বীরাজ চৌহান-সহ আরও অনেকে। সেই চিঠিতে সম্প্রতি দল পরিচালনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর চাইছেন, অন্তর্বর্তীকালীন নয়, সর্বক্ষণের জন্য সক্রিয় নেতৃত্বের প্রয়োজন। তবে, সোনিয়া গান্ধী যদি সেই হাল ধরতে চান, অনেকের তাতে আপত্তি নেই বলে জানা গিয়েছে। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল-সহ অধীর চৌধুরী, ডি কে শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়ারা সোনিয়ার উপরেই আস্থা রাখছেন। অন্য দিকে সচিন পাইলট, দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট, যুব কংগ্রেস চাইছে রাহুল গান্ধী ফের দায়িত্বে ফিরে আসুক।