“রাজধর্ম শেখাবেন না, আপনাদের রেকর্ড খুললেই...” সনিয়াকে তোপ আইনমন্ত্রীর
শুক্রবার, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী প্রসাদের পাল্টা তোপ, রাজধর্ম শেখাবেন না সনিয়া গান্ধী। ইতিহাস খুললেই মিলবে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি, হিংসা ছড়ানোর রেকর্ড। দিল্লির হিংসা নিয়ে রাজনীতি বরদাস্ত করবে না বলে জানান তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধর্ম শেখাবেন না। যারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে, তাদের থেকে এই উপদেশ নিতে নারাজ। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধীকে তোপ কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের। বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সনিয়া গান্ধীরা। স্মারকলিপি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্মরণ করিয়ে দেন, তিনি সংবিধানের রক্ষাকর্তা। সরকারকে ‘রাজধর্ম’ পালনের পরামর্শ দেন সনিয়া গান্ধী।
শুক্রবার, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী প্রসাদের পাল্টা তোপ, রাজধর্ম শেখাবেন না সনিয়া গান্ধী। ইতিহাস খুললেই মিলবে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি, হিংসা ছড়ানোর রেকর্ড। দিল্লির হিংসা নিয়ে রাজনীতি বরদাস্ত করবে না বলে জানান তিনি। সরকার যেখানে সর্বসম্মত আলোচনা চালিয়ে শান্তি এবং একতা বজায়ের চেষ্টা চলেছে, সেখানে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের রাজনীতি দুর্ভাগ্যজনক। গতকাল রবিশঙ্কর প্রসাদ মনে করিয়ে দেন ১৯৮৪ শিখ বিরোধী দাঙ্গায় কংগ্রেসের ভূমিকা কিংবা এমার্জেন্সির সময় বিচারব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ।
আরও পড়ুন- 'আমি ছিলাম-ই না!', অঙ্কিত শর্মা খুনে FIR দায়ের হতেই বেপাত্তা 'নির্দোষ' তাহির
দিল্লির হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্টও। বিচারপতি মূরলীধর তো বলেই দেন, ৮৪-র হিংসার পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যায় না। গত তিন-চার দিনে হিংসার ভয়াবহ আকার নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা ৪২। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে সব রকমের পদক্ষেপ করা হবে। তবে, শুক্রবার থেকে নতুন করে হিংসার খবর মেলেনি। বেশ কিছু দোকানপাটও খোলে। খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রাস্তায় নেমে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন।