Karnataka: 'হিন্দু ধর্মের জয়' চিৎকার জনতার, মাদ্রাসায় ঢুকে দসেরা পালন!
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই ঘটনার জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বিদারের বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে দসেরা পালন! রীতি-আচার মেনে পুজো! ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে। মাদ্রাসার ভিতর ঢুকে পড়ে দসেরা পালনের ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেখানে। অভিযোগ, একদল উত্তেজিত জনতা 'জয় শ্রী রাম' ও 'হিন্দু ধর্মের জয়' বলে চিৎকার করতে করতে মাদ্রাসার ভিতর ঢুকে পড়ে। তারপরই মাদ্রাসার এক কোণে দসেরা পুজো করে।
কর্ণাটকের বিদারে একটি দসেরার মিছিলে অংশ নিয়েছিল ওই জনতা। তারপরই তারা একটি হেরিটেজ মাদ্রাসায় ঢুকে পড়ে। স্লোগান দিতে থাকে। পাশাপাশি, ভবনের এক কোণে পুজাও করে। এই ঘটনা ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিস। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ওদিকে মুসলিম সংগঠনগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে সব দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে বড়সড় আন্দোলনের।
প্রসঙ্গত, ১৪৬০-এর দশকে এই মাদ্রাসাটি নির্মিত হয়েছিল। বিদারের মাহমুদ গাওয়ান এই মাদ্রাসাটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের অধীনে একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। কাঠামোটি জাতীয়স্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যেও তালিকাভুক্ত। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। মাদ্রাসার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে "জয় শ্রী রাম" এবং "হিন্দু ধর্মের জয়" স্লোগান দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিঁড়িতে বিশাল ভিড়।
Visuals from historic Mahmud Gawan masjid & madrasa, Bidar, #Karnataka (5th October). Extremists broke the gate lock & attempted to desecrate. @bidar_police @BSBommai how can you allow this to happen? BJP is promoting such activity only to demean Muslims pic.twitter.com/WDw1Gd1b93
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) October 6, 2022
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই ঘটনার জন্য রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বিদারের বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনও এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে নমাজের পর ব্যাপক আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, এর আগে অগস্টে হুবলির ইদগাহ মাঠে গণেশ চতুর্থী উৎসবও পালন করা হয়েছিল।