ফেসবুক কাণ্ডে সেনার বন্ধে সাড়া, তবে রেনু পেলেন সমর্থন
বাল থাকরের মৃত্যুকে ঘিরে ফেসবুক বিতর্কে একই দিনে ঘটে গেল দুটো বড় ঘটনা। ফেসবুক-কাণ্ডে দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহারাষ্ট্রের পালঘরে শিবসেনার ডাকে বন্ধ হল। অন্যদিকে, শিবসেনার বন্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি সেই রিনু শ্রীনিবাসন আবার ফেসবুকে ফিরে এলেন। শিবসেনার বন্ধ-এ পালাঘরে পোস্টারে ছেয়ে যায়। সেইসব পোস্টারে শহরবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সকলে যেন বনধে সাড়া দেন।
বাল থাকরের মৃত্যুকে ঘিরে ফেসবুক বিতর্কে একই দিনে ঘটে গেল দুটো বড় ঘটনা। ফেসবুক-কাণ্ডে দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহারাষ্ট্রের পালঘরে শিবসেনার ডাকে বন্ধ হল। অন্যদিকে, শিবসেনার বন্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি সেই রিনু শ্রীনিবাসন আবার ফেসবুকে ফিরে এলেন। শিবসেনার বন্ধ-এ পালাঘরে পোস্টারে ছেয়ে যায়। সেইসব পোস্টারে শহরবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সকলে যেন বনধে সাড়া দেন। বন্ধে দোকানপাট, গাড়ি চালাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। যা দেখিয়ে শিবসেনার নেতারা বলছেন, এই বন্ধ প্রমাণ করে দিল বালা সাহেবকে নিয়ে শাহিদ ধাডা, রেনু শ্রীনিবাসনরা ফেসবুকে যা করেছিল তা কতটা ভুল ছিল। অবশ্য এই বন্ধ কতটা শিবসেনা কর্মীদের তাণ্ডবের ভয়ে আর কতটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থেকে সফল হল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
অন্যদিকে আবার চেন্নাইয়ের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রিনুকে বাধ্যতামূলক ইন্টারভিউ ছাড়াই রিনুকে ভর্তি নিয়ে কুর্নিশ জানাল। বাল থাকরের শেষকৃত্যের দিন শাহিদ ধাডার ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করার `অপরাধে` বিতর্কের মুখে পড়েন রিনুও। সে রাতেই শাহিনের সঙ্গে রিনুকে পালঘর থানায় ডেকে পাঠানো হয়। জামিন পেলেও, শহর ছাড়তে না-পারার শর্তে রিনুর পড়াশোনার ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কেননা, সে ক্ষেত্রে রিনুর সামনে ইন্টারভিউয়ের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। চেন্নাইয়ে ইন্টারভিউ হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, বাল ঠাকরের মৃত্যুতে মুম্বই স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে ফেসবুকে প্রশ্ন করায় শাহিদ ধাডাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিস। সেই সঙ্গে ওই তরুণীর `পোস্ট`কে `লাইক` করার জন্য গ্রেফতার করা হয় তাঁর বান্ধবী রেনু শ্রীনিবাসকেও। থানের বাসিন্দা ২১ বছরের শাহিন ধাডা ফেসবুকে তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "ঠাকরের মতো ব্যক্তিরা প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেন এবং মারা যান এবং এ নিয়ে বন্ধ পালন করা অর্থহীন।" তাঁর এই `স্টেটাস` `লাইক করেন তাঁর বান্ধবী। এই `অপরাধে` ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-র এ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অপরাধে এবং ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৪-র এ ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।