এনআরসি-তে ৩.৩০ কোটি আবেদনকারীর ‘স্ট্যাটাস’ প্রকাশ হল অনলাইনে
কেন্দ্র জানিয়েছে, এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য দ্বারস্থ হতে হবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে। যেখানে তাঁরা ১২০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনলাইনে প্রকাশ হল অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির আবেদনকরীরদের স্ট্যাটাস। প্রায় ৩.৩০ কোটি মানুষ নাগরিকত্ব প্রমাণের আবেদন করেছিলেন। তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ১৯ লক্ষের নাম। এনআরসি-তে নথিভুক্ত এবং বাদ পড়া সবার স্ট্যাটাস জানা যাবে অনলাইনে।
জুলাইয়ে এনআরসি-র প্রথম খসড়ায় বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম। ফের নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি জমা দেন তাঁরা। গত অগস্টে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, ৪০ লক্ষ থেকে এক ধাক্কায় তালিকা ছুটের নাম নেমে আসে ১৯ লক্ষে। যদিও এই চূড়ান্ত তালিকা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির একাংশও মনে করছে, প্রত্যাশিত তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি এনআরসি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- পাল্টা গুলিতে কোণঠাসা; ২ সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করতে সাদা পতাকা দেখাতে বাধ্য হল পাক সেনা, দেখুন
কেন্দ্র জানিয়েছে, এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য দ্বারস্থ হতে হবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে। যেখানে তাঁরা ১২০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট পরে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের সব রকমের আইনি সহয়তা দেবে কেন্দ্র।
তবে, শেষমেশ যাঁরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না, তাঁদের ‘অনাগরিক’ বা ‘রাষ্ট্রহীন’ বলে ঘোষণা করা হবে এবং এঁদের আটক কেন্দ্রে রাখা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে গোয়ালপাড়া জেলায় ৪৬ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি আটক কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। যার ধারণ ক্ষমতা থাকবে মাত্র ৩ হাজার মানুষের। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাষ্ট্রহীনদের সংখ্যা লক্ষাধিক পৌঁছলে, তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পের রাখার মতো পরিকাঠামো কেন্দ্র করতে পারবে কিনা ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।