বিজেপিতে থেকেই `লড়াই` চালাবেন ইয়েদুরাপ্পা
কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বের উপর লাগাতার চাপসৃষ্টির কৌশল নিলেও আপাতত দল ভাঙার পথে হাঁটছেন না বোকানাকেরে সিদ্ধালিঙ্গাপ্পা ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার বেঙ্গালুরুতে এক ভিড়ে ঠাসা সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই একথা জানিয়ে দিলেন শিকারিপুরার লিঙ্গায়েত নেতা।
কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বের উপর লাগাতার চাপসৃষ্টির কৌশল নিলেও আপাতত দল ভাঙার পথে হাঁটছেন না বোকানাকেরে সিদ্ধালিঙ্গাপ্পা ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার বেঙ্গালুরুতে এক ভিড়ে ঠাসা সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই একথা জানিয়ে দিলেন শিকারিপুরার লিঙ্গায়েত নেতা। ইয়েদুরাপ্পার দাবি, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভার ট্রেজারি বেঞ্চের ৭১ জন বিধায়কের সমর্থন আছে তাঁর পিছনে। চাইলে, যে কোনও সময়ে `বিশ্বাসঘাতক` সদানন্দ গৌড়াকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে পারেন তিনি। কিন্তু দলের বাইরে না গিয়ে ভিতর থেকেই লড়াই জারি রাখতে চান তিনি।
রবিবার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের প্রবল সমালোচনার পাশাপাশি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর প্রশস্তি করে রাজনৈতিক মহলে দলত্যাগের জল্পনা তুঙ্গে তুলে দিয়েছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ির নির্দেশে ইয়েদুরাপ্পার ক্ষোভ প্রশমন করতে আসরে নামেন দলের রাজ্যসভার নেতা অরুণ জেটলি। দফায় দফায় বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিন বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করার আগে টুমকুরের বিখ্যাত লিঙ্গায়েত তীর্থ সিদ্দাগঙ্গা মঠে যান ইয়েদুরাপ্পা। বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের ধারণা, অবৈধ খনন কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর ইয়েদুরাপ্পাও বুঝতে পারছেন, তাঁর পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আপাতত দল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অবৈধ আকরিক লোহা খনন এবং সরকারি জমি আত্মসাতের জোড়া কেলেঙ্কারির জেরে গত বছর বেঙ্গালুরুর কুরসি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। সে সময় বিজেপি পরিষদীয় দলের ভোটাভুটিতে নিজের অনুগামী, লিঙ্গায়েত নেতা সদানন্দ গৌড়াকে জিতিয়ে এনেছিলেন তিনি। পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অনন্তকুমার, কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি এশ্বরাপ্পা এবং বল্লারির রেড্ডি ব্রাদার্স সমর্থিত মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী জগদীশ সেট্টার। কিন্তু পরবর্তীকালে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদ ফেরত পেতে সচেষ্ট হলে অনন্তকুমার-এশ্বরাপ্পা শিবিরের সঙ্গে হাত মেলান সদানন্দ গৌড়া।