ইসরাত জাহান জঙ্গি নন, চার্জশিট পেশ করে জানাল সিবিআই

গুজরাত গোয়ান্দা শাখা ও রাজ্য পুলিসই ইসরাত জাহানকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করে বলে সিবিআই চার্টশিটে জানানো হয়েছে। বুধবার সন্ধেয় আহমেদাবাদ আদালতে ইসরাত মামলার প্রথম চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের জানিয়েছে, "রাজনীতির ভিত্তিতে নয়, প্রমানের ভিত্তিতেই``, এই চার্জশিট গঠিত হয়েছে।

Updated By: Jul 3, 2013, 09:06 PM IST

গুজরাত গোয়ান্দা শাখা ও রাজ্য পুলিসই ইসরাত জাহানকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করে বলে সিবিআই চার্টশিটে জানানো হয়েছে। বুধবার সন্ধেয় আহমেদাবাদ আদালতে ইসরাত মামলার প্রথম চার্জশিট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের জানিয়েছে, "রাজনীতির ভিত্তিতে নয়, প্রমানের ভিত্তিতেই``, এই চার্জশিট গঠিত হয়েছে।
সংস্থার রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে এলাহাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ এনকাউন্টারের আগেই এফআইআর দায়ের করে। ডিজি ভানজারা, তৎকালীন ক্রাইমব্রাঞ্চের প্রধান পিপি পাণ্ডের সহ মোট ৭ পুলিস কর্তাকে কাঠকড়ায় তুলেছে সিবিআই। ভনজরা এখন গরাদের পিছনে, পুলিসের খাতায় ফেরার পাণ্ডে। এদের বিরুদ্ধে ১৯ বছরের ইসরাতকে হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ লোপাটের চার্জ দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মুম্বইয়ের একটি কলেজের ছাত্রী ইসরাত ও আরও তিনজনকে খুন করে গুজরাত পুলিস। আহমেদাবাদে ফেরার পথে তাঁদের খুন করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় গুলি বিনিময়ের তত্ত্ব খারা করতে চেয়েছেল পুলিস। সিবিআই চার্জশিট থেকেই স্পষ্ট, কোনও এনকাউন্টার নয়, ১৫ জুন, ২০০৪ তাঁদেরকে অপহরণ করে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে খুন করে পুলিসেরই উচ্চপদস্থ কর্তারা।
এনকাউন্টারে মৃত জিসান আলিকে ওই বছরের এপ্রিলে তুলে নিয়ে যায় পুলিস। আমজাদ খানকে অপহরণ করা হয় মে মাসে। ইসরাত ও বাকি আর একজকে ২০০৪-এর জুনেই অপহরণ করা হয়েছিল। কাক-পক্ষি যাতে টের না পায়, তাই তাঁদেরকে আলাদা আলাদা বাগানবাড়িতে রাখা হয়। এখনেই শেষ নয়, হাইরোডের ওপর যেখানে ইসরাতের দেহ পাওয়া যায়, তাঁর পাশ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্রও। সিবিআইয়ের যুক্তি, ওই আগ্নেয়াস্ত্র এসেছিল ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর ঘর থেকে।
রাজেন্দ্র কুমার তখন গুজরাতের আইবির দায়িত্বে। রাজ্য পুলিসকে গোয়েন্দারা সতর্ক করে, মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হত্যার পরিকল্পনা করছে লস্কর জঙ্গিরা। সিবিআইয়ের পরবর্তি চার্জশিটে রাজেন্দ্র কুমারের নাম আসবে বলে মনে করছে অনেকে। ইসরাত মামলার দ্বিতীয় দফার সিবিআই চার্জশিট জমা পরবে জুলাইয়ের শেষে।
সিবিআই চার্জশিটে কোথাও উল্লেখ করা নেই, ইসরাত ও অন্যান্যরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধান রঞ্জন কুমারেকে সিবিআই চার্জশিটে অভিযুক্ত করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং এই ঘটনায় সরাসরি মোদীর দিকে আঙুল তোলেন। পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে হাতমিলিয়েছিল মোদীও। অভিযোগ এমনই। রাজনৈতিক অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের রেশটেনেই রাজনৈতিক মহলের রায়, ইসরাত জাহানকাণ্ডে গুজরাত সরকার কোন ঠাসা হলে মোদী পদ্মে কাঁটা ফোটে কিনা।

.