সংকটে শিবসেনা, পথে নেমে সমর্থন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা তৃতীয় প্রজন্মের
মুম্বইয়ের বাইরে, তিনি কোঙ্কন এবং মারাঠওয়াড়ার মতো শিবসেনার গড় পরিদর্শন করেছেন। তিনি পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ভ্রমণ করেছেন। এই অঞ্চলে বেশিরভাগই বিদ্রোহী বিধায়কদের নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকায় হতাশাগ্রস্ত ক্যাডারদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আদিত্য ঠাকরেও বিদ্রোহীদের প্রতি সরাসরি আক্রমণ শুরু করেছেন। এই আক্রমণ তাঁকে আগে কখনও করতে দেখা যায়নি। তিনি বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতক বলেছেন। তিনি আরও বলেন যে বিদ্রোহীরা অসুস্থ অবস্থায় তার বাবার পিঠে ‘ছুরি মেরেছেন’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতনের পরে দলের ভিত্তি নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছে শিবসেনা। এরফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ফের সংযোগ স্থাপন করা এবং হারানো জমি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। জুনিয়র ঠাকরে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সফর শুরু করেছেন। বিশেষ করে বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের নির্বাচনী এলাকা এই সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। তার বাবা উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে থাকা দলের গোষ্ঠী অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন আদিত্য। গত দেড় মাস ধরে, আপাত শান্ত স্বভাবের ৩২ বছর বয়সী আদিত্য ঠাকরে আরও বেশি করে লড়াইয়ে নেমেছেন। আদিত্য মুম্বইয়ের ওয়রলি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
'নিষ্ঠা যাত্রা’ এবং 'শিবসংবাদের' মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের কাছেও পৌঁছে যাওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন তিনি। মন্ত্রী হিসাবে, তাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্রাউজার এবং শার্টে দেখা গিয়েছে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেসের সাথে জোট হওয়ার কারণে তার বাবা হিন্দুত্বের প্রতি দলের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন। এরপরেই আদিত্য ঠাকরের কপালে একটি স্পষ্ট লাল তিলক দেখা গিয়েছে।
৫৫ জন সেনা বিধায়কের মধ্যে, ৪০ জন জুন মাসে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এর ফলে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) সরকারের পতন ঘটে। দলের ১৮ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে ১২ জন নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন উপদলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
বহু প্রাক্তন কর্পোরেটর এবং দলীয় কর্মী সাম্প্রতিককালে দল বদল করেছেন। আদিত্য ঠাকরে এই দল বদল আটকানোর জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে খুব বেশি ভ্রমণ করতে পারেননি। তিনি নিজের বাসভবন 'মাতোশ্রী'-তে দলীয় কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন।
গত বছর, তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ তিনি বাড়িতে থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করেন। একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহে যোগদানকারী অনেক বিধায়ক উদ্ধব ঠাকরের কাছে পৌঁছাতে না পারাকে তাদের অন্যতম অভিযোগ হিসাবে তুলে ধরেন।
২১ জুন বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে, আদিত্য ঠাকরে মুম্বই এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য বড় শহরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা নির্বাচনের আগে ক্যাডারদের সমাবেশ করার চেষ্টা করেন। তিনি মুম্বই এবং এর আশেপাশে বিভিন্ন সেনা ‘শাখা’ অথবা স্থানীয় পার্টি অফিসে যাচ্ছেন। স্থানীয় শাখায় তাঁর এই ধরনের সফরের কথা আগে কখনও শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন: Coronavirus in Delhi: ফের করোনা-আতঙ্ক! ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যু, লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও
মুম্বইয়ের বাইরে, তিনি কোঙ্কন এবং মারাঠওয়াড়ার মতো শিবসেনার গড় পরিদর্শন করেছেন। তিনি পশ্চিম মহারাষ্ট্রে ভ্রমণ করেছেন। এই অঞ্চলে বেশিরভাগই বিদ্রোহী বিধায়কদের নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকায় হতাশাগ্রস্ত ক্যাডারদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
আদিত্য ঠাকরেও বিদ্রোহীদের প্রতি সরাসরি আক্রমণ শুরু করেছেন। এই আক্রমণ তাঁকে আগে কখনও করতে দেখা যায়নি। তিনি বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতক বলেছেন। তিনি আরও বলেন যে বিদ্রোহীরা অসুস্থ অবস্থায় তার বাবার পিঠে ‘ছুরি মেরেছেন’।
তিনি বিদ্রোহীদের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচনের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিদ্রোহী বিধায়করা এই আক্রমণ ভালভাবে নেয়নি তা স্পষ্ট। এমনকি কিছু উদ্ধব ঠাকরের সমর্থকও এই আক্রমণ মেনে নিতে পারেননি।