জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করায় ধুন্ধুমার গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
অভিযোগ, জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। আর তারই জেরে ধুন্ধুমার বেধে গেল গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তব্যরত চিকিত্সকের ওপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক পেটালেন শিশুর পরিবার।
ওয়েব ডেস্ক: অভিযোগ, জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। আর তারই জেরে ধুন্ধুমার বেধে গেল গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তব্যরত চিকিত্সকের ওপর চড়াও হয়ে তাকে বেধড়ক পেটালেন শিশুর পরিবার।
চিকিত্সক বলেছিলেন, মারা গেছে সন্তান। বাড়িতে আনতেই প্রসাব করে দিল একরত্তি। আর তা ঘিরে ধুন্ধুমার বেধে গেল গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিত্সককে বেধড়ক মারধর করলেন শিশুর পরিবার।
বেলা এগারোটা। শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা সন্তানকে নিয়ে গুসকরা প্রাথমিক ছুটে যান জীবন বারুই। শিশুটিকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিত্সক দেবজ্যোতি ঘোষ। সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বাবা-মা। ঘটনার সূত্রপাত এর ঠিক পরই। অভিযোগ, বাড়িতে নিয়ে আসার পরই প্রসাব করে দেয় শিশুটি। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে পাড়ার চিকিত্সকের কাছে ছুটে যান জীবন বারুই।
এরপরই কর্তব্যরত চিকিত্সক দেবজ্যোতি ঘোষকে নিশানা করেন বারুই পরিবারের সদস্যরা। জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন, এই অভিযোগে দেবজ্যোতিবাবুর ওপর চড়াও হয় রোগীর পরিবারের লোকেরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। ধুন্ধমার বেধে যায় গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌছয় আউসগ্রাম থানার পুলিস। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। অভিযুক্ত জীবন বারুইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।