আর্থিক সাহায্যের নামে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাকে ডেকে 'গণধর্ষণ'! কাঠগড়ায় ASI ও সঙ্গী
রাত ১০টা নাগাদ সেখানে বিধানবাবু আসেন। সঙ্গী যুবকের সঙ্গে মদ্যপান করেন। নির্যাতিতাকেও পানীয় দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কালিয়াচকের গৃহবধুকে গোয়ালপোখরে ডেকে এনে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিস অফিসার বিধান সিংহ গোয়ালপোখর থানার এএসআই। আরও অভিযোগ, ঘটনার পরদিন থানায় গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেয়নি গোয়ালপোখর থানার পুলিস। উল্টে নির্যাতিতাকে দিয়ে সাদা কাগজে লিখিয়ে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিস। এরপরই আজ সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ওই নির্যাতিতা।
রবিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতা মহিলা জানান, কালিয়াচক থানায় থাকাকালীন অভিযুক্ত পুলিস অফিসার বিধান সিংহের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা জানার পর তাঁকে দু-একবার আর্থিক সাহায্যও করেন বিধানবাবু। এরপর শুক্রবার মহরমের আগে ফের কিছু আর্থিক সাহায্য করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেই গোয়ালপোখরে ওই তাঁকে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত এএসআই।
বিধানবাবুর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব পাওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ রামপুরে পৌঁছন নির্যাতিতা। অভিযোগ, তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে এক যুবককে পাঠিয়েছিলেন বিধানবাবু। ওই যুবক তাঁকে মোটরবাইকে চাপিয়ে একটি গ্যারাজে নিয়ে যায়। তারপর রাত ১০টা নাগাদ সেখানে বিধানবাবু আসেন। সঙ্গী যুবকের সঙ্গে মদ্যপান করেন। নির্যাতিতাকেও পানীয় দেন। সেই পানীয় পান করার পরই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই তাঁর অচৈতন্যতার সুযোগ নিয়ে ওই পুলিস অফিসার ও সঙ্গী যুবক মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন, খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে অজ্ঞান করে স্ত্রী, তারপর প্রেমিকের সঙ্গে সারে বাকি 'কাজ'
তারপর তাঁকে ওই গ্যারাজ থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, সেখানে নিয়ে গিয়েও নির্যাতিতা ফের গণধর্ষণ করা হয়। সারা রাত ধরে চলে নির্যাতন। তারপর তাঁকে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় একটি ব্রিজে ফেলে দিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত এএসআই ও তাঁর সঙ্গী। এরপর সকালে এলাকাবাসী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন ওই মহিলাকে। স্থানীয়দের সাহায্যেই তারপর গোয়ালপোখর থানায় পৌঁছন নির্যাতিতা।
আরও পড়ুন, বাসের জানলা দিয়ে বমি করতে গিয়ে বিপত্তি, খুঁটির ধাক্কায় খুলি দুভাগ হয়ে ছিটকে পড়ল রাস্তায়
কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত এএসআই-এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না নিয়ে তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় দোষী অফিসারের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন দুই সন্তানের জননী ওই মহিলা। ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রাও। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিনাজপুরের পুলিস সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, "অভিযুক্ত এএসআই-কে লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে ৷ তবে মহিলার কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। পেলে তদন্ত শুরু করা হবে।"