অবশেষে মিলল অনুমোদন, চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাট শ্মশানে বসছে দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লি
শ্যামবাবুর ঘাটে ১৯৯০ সালে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসে। সাম্প্রতিক মৃতদেহ সত্কারের চাপে বেশকয়েকবার সেই চুল্লি খারাপও হয়েছে। মেরামত করে তা ঠিক করতে অন্তত পক্ষে ৭ দিন সময় লাগে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাবি ছিল অনেক দিনের। এতদিন মিলল সরকারি ছাড়পত্র। এবার মৃতদেহ সত্কারের জন্য চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটে বসছে আরও একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি।
কোভিড আবহে বাড়ছে মৃতদেহের সংখ্যা। সরকারি নিয়ম মেনে এখনও কোভিডে মৃত্যুর পর দেহ দেওয়া হচ্ছে না বাড়ির লোককে। সরকারি উদ্যোগেই সেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাসপাতাল কিংবা বাড়ি, কোভিডে মৃত্যু হলে সৎকারের আগে পর্যন্ত দেহ রাখা হচ্ছে চুঁচুড়া হাসপাতালের মর্গে। হুগলি (Hooghly)জেলার সদর মহকুমায় এই একটি মাত্র মর্গ রয়েছে। মর্গের দুটি ঘরের একটিতে কোভিডে মৃতদের দেহ এবং অন্যটিতে সাধারন (অস্বাভাবিক মৃত্যু) মৃতদেহ রাখা হয়।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, Dilip Ghosh-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের
মৃতদেহের তুলনায় চুঁচুড়ায় শ্মশানের সংখ্যাও কম। তাই সত্কার করতে দেরি হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে রাতের বেলাতেই মূলতঃ কোভিডে আক্রান্তদের দেহ সৎকার করা হচ্ছে। আর সাধারণ মৃতদেহের জন্য সৎকারের করা হচ্ছে দিনের আলোতে। কোভিডে মৃতদের দেহ রাতে সত্কার হলেও একরাতে খুব বেশি হলে ৫-৬টি মৃতদেহই সত্কার করা যাচ্ছে। ফলে মৃতদেহ জমছে মর্গে।
চুঁচুড়া শহরে এই মুহুর্তে বৈদ্যুতিক চুল্লির সংখ্যা মাত্র একটি। এটি রয়েছে শহরের একমাত্র শ্মশানঘাট শ্যামবাবুর ঘাটে। চুঁচুড়া পৌরসভার আওতাভুক্ত বাবুগঞ্জ ও কালিতলায় শ্মশানঘাট থাকলেও বৈদ্যুতিক চুল্লি না হওয়ায় সেগুলো গুরুত্ব হারিয়েছে। বন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে ওই দুটি শ্মশানঘাট। তবে সম্প্রতি কালীতলা শ্মশানেও কোভিডে আক্রান্তের দেহ সৎকারের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে কাঠে সৎকার হওয়ায় তা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। ফলে এই মুহুর্তে চুঁচুড়া(Chinsura) শহরে অত্যন্ত আরও একটি বিদ্যুতিক চুল্লির প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন ধরে যা পড়েছিল দিল্লি সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায়। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থেকে শ্যামবাবুর ঘাটে ২য় বৈদ্যুতিক চুল্লির আবেদনে ছাড়পত্র মিলেছে।
আরও পড়ুন-'গণতন্ত্র বিরোধী', আলাপন-বদলিতে রাজ্য সরকারের পাশে Congress
দীর্ঘদিনের পুরনো শ্যামবাবুর ঘাটে ১৯৯০ সালে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসে। সাম্প্রতিক মৃতদেহ সত্কারের চাপে বেশকয়েকবার সেই চুল্লি খারাপও হয়েছে। মেরামত করে তা ঠিক করতে অন্তত পক্ষে ৭ দিন সময় লাগে। সেসময় হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ জমে যায়। অবশেষে আরও একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির আবেদনে সাড়া মেলায় সেই ছবি কিছুটা বদলাতে পারে। তবে সবে তো অনুমোদন আদৌ কতদিনে নতুন এই চুল্লি তৈরী হয় সেটাও প্রশ্ন!