সকালে নেতাইয়ে Suvendu-র শহিদ স্মরণ, 'ওকে এখানে ঢুকতে দেব না,' পাল্টা আক্রমণ TMC-র
শহিদ পরিবারগুলির কেউ মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস-ই তাদের সঙ্গে ছিল। তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী-ই প্রথম থেকে দেখাশোনা করেছেন। তাই তারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থাকবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শহিদ দিবসে নেতাই (Netai) নিয়ে দড়ি টানাটানি ঘাসফুল-পদ্মফুল দুই শিবিরে। মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহিদ বেদীতে মাল্যদানের পর এদিন সকালে নেতাইয়ে এসে শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরই তৃণমূলের (TMC) শহিদ স্মরণ সভা থেকে পাল্টা আক্রমণ শাণানো হয় শুভেন্দুর উদ্দেশে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ছত্রধর মাহাতো থেকে মদন মিত্র একযোগে নেতাই প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করেন। শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেয়, "ওকে এখানে ঢুকতে দেব না।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee):
"শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খোলস খুলে গিয়েছে। উনি বিজেপিতে (BJP) গেলেও ইতিহাস নিয়ে যেতে পারবেন না। এটা রাজনীতি করার মঞ্চ নয়। সবাই জানে কার নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছিল নেতাইয়ে। আর কারা পাশে ছিল। দল শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়েছিল নেতাই দেখার। উনি তা না করে ব্যক্তিপুজো করেছেন।"
ছত্রধর মাহাত (Chhatradhar Mahato):
"২০০৮-২০০৯-এ জঙ্গলমহলে শুভেন্দু ছিল না। ও মেরুদণ্ড ভেঙে বিজেপিতে গিয়েছে। কিন্তু টাকা দিয়ে আদিবাসীদের কেনা যাবে না। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে আমার আবেদন, এখানে ওকে ঢুকতে দেব না। যেখানে যাবে, সেখানেই বিক্ষোভ দেখান। আমি আছি আপনাদের সাথে। ২০২১-এ দু'হাত তুলে মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) আশীর্বাদ করুন।"
মদন মিত্র (Madan Mitra):
"শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নরকেও জায়গা হবে না। উনি বলছেন, নেতাইয়ে মমতা আসেননি! পাপ বাপকেও ছাড়ে না! আজ সকালে নাকি শুভেন্দু এসেছিল? পরের মিটিং-এর দায়িত্ব আমায় দিন। শুভেন্দুকে ঢুকতে দেব না, কথা দিচ্ছি। দুটো মিছিল করব এখানে। ঝাড়গ্রামের ৪টে আসন আমরাই জিতব।"
আরও পড়ুন, তৃণমূল আসার পর রাজ্যের কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ হয়েছে, দাবি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
এদিন তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে নেতাইয়ের শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও (Chandrima Bhattacharya)। প্রসঙ্গত, এদিন নেতাইয়ে (Netai) কোনও দলীয় কর্মসূচি করেননি শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তবে শহিদমঞ্চে শহিদদের পরিবারকে পাশে নিয়ে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান তুলতে দেখা যায় বিজেপি (BJP) নেতাকে। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এর আগে কোনও রাজনৈতিক দলই এই শহিদ পরিবারের খোঁজ নেয়নি। সেটা একা শুভেন্দু অধিকারী করেছেন। তাঁর সামর্থ্য মতো তিনি এখানের মানুষের জন্য সবকিছু করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি নেতাইয়ের ঘটনার জন্য নাম না করে ছত্রধর মাহাতকেও (Chhatradhar Mahato) নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান Suvenduর, জমায়েতে বোমাবাজির অভিযোগ
উল্লেখ্য, আজ নেতাই দিবসের ১০ বছর হল। আজ নেতাই (Netai) দিবসের ১০ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার দিনে শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূলের মধ্যে দড়ি টানাটানিতে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত শহিদ পরিবারগুলি। কেউ মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস-ই (TMC) তাদের সঙ্গে ছিল। তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী-ই প্রথম থেকে দেখাশোনা করেছেন। তাই তারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থাকবেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর থেকেই কার্যত দ্বিধাবিভক্ত নেতাইয়ের শহীদ পরিবারগুলি। এর পাশাপাশি, সেদিনের ঘটনায় দোষীরা এখনও কেন সাজা পায়নি? সেদিন যেই ঘরে জমায়েত করে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেই ঘর কেন খুলে দেওয়া হল? সেই প্রশ্নও তুলেছে শহীদ পরিবারগুলি।