Suvendu Adhikari: ওয়ারেন্ট ছাড়া কীভাবে অফিসে তল্লাশি! শুভেন্দুকে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের
রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে বা তার অফিসে পুলিস যাওয়া নতুন কিছু ব্যাপার নয়। ভয় দেখিয়ে চমকে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের পর এবার আদালতের দরজায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিসের একটি বিশাল বাহিনী তল্লাশি চালায়। এনিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তিনি বিষয়টি নিয়ে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টে।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, ওয়ারেন্ট ছাড়া একজন বিধায়কের কার্যালয় ও বাড়িতে কীভাবে তল্লাশি চালাতে পারে পুলিস। ওই বাড়িটি শুধুমাত্র শুভেন্দুর কার্যালয় নায়, তাঁর বাড়িও। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চাওয়া হল হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের বেঞ্চে। মামলা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি। এনিয়ে শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।
কী হয়েছে আসলে? নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতা মেঘনাথ পাল। তাঁর স্ত্রী মহুয়া পাল ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এমনই এক অভিযোগে তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুকের এসডিপিও-র নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিস বাহিনী সোমবার নন্দীগ্রামে মহুয়া পালের বাড়িতে যায়। মহুয়া পালকে তাঁর বাড়িতে না পেয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়কের কার্যালয়ে পুলিস আসে। অভিযোগ কোনও খবর না দিয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিস বাহিনী। এর প্রতিবাদ করেন কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। এনিয়ে পুলিসের দাবি, ওটি শুভেন্দুর কার্যালয় বলে তাঁরা জানতেন না। জানলে ঢুকতেন না।
এনিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে বা তার অফিসে পুলিস যাওয়া নতুন কিছু ব্যাপার নয়। এসব নিয়মিত চলছে। ভয় দেখিয়ে চমকে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটাই টিএমসি রীতি। লোকজন নেই রয়েছে শুধু পুলিস ও গুন্ডা। মানুষ দেখছে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছে এবার পুরো পার্টিকে হারিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন-Suvendu Adhikari:নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কার্যালয়ে পুলিসি হানা! রাজ্যপালের কাছে নালিশ বিরোধী দলনেতার