ক্যাশলেসে লেনদেনে এভাবেই আপনার অজান্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে!

ক্যাশলেসে লেনদেনে সুবিধা যেমন আছে তেমনই। থাকছে বিপদের আশঙ্কা। আপনার অজান্তেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। ওঁত পেতে বসে আছে লুঠেরা। কতটা নিরাপদ প্লাস্টিক লেনদেন? দেখুন, আমার চব্বিশ ডিজিটালে ডাকাতি। রাত ৮টায়। চোরেরা বসে আছে।

Updated By: Dec 9, 2016, 03:41 PM IST
ক্যাশলেসে লেনদেনে এভাবেই আপনার অজান্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে!

ওয়েব ডেস্ক: ক্যাশলেসে লেনদেনে সুবিধা যেমন আছে তেমনই। থাকছে বিপদের আশঙ্কা। আপনার অজান্তেই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। ওঁত পেতে বসে আছে লুঠেরা। কতটা নিরাপদ প্লাস্টিক লেনদেন? দেখুন, আমার চব্বিশ ডিজিটালে ডাকাতি। রাত ৮টায়। চোরেরা বসে আছে।

নভেম্বরে নোট বাতিলের ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, লেস ক্যাশ থেকে দেশ এ বার ক্যাশ লেস হবে। ঠিক তার আগের মাসে অক্টোবরে শোনা গিয়েছিল, গোটা দেশে বত্রিশ লক্ষ ডেবিট কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যানও বলছে, দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। তাই ক্যাশলেসের জোয়ারে গা ভাসানোর আগে আপনাকে সতর্ক থাকতেই হবে। একটু ভুলচুক হলেই বরাবরের মতো উধাও হয়ে যেতে পারে আপনার কষ্টের উপার্জন।

আরও পড়ুন শিশু বিক্রি চক্রে জ়ডিত স্বামী, ২৪ ঘণ্টায় অভিযোগ মহিলার!

আইনজ্ঞ মহল থেকে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ - সকলেই বলছেন ভারতীয় অর্থনীতির ডিজিটাল যাত্রার গোড়াতেই রয়ে গেছে বেশ কিছু গলদ। ডিজিটাল প্রতারণার ক্ষেত্রে আইনের বাঁধন যথেষ্ট আলগা। ই-ওয়ালেট সংস্থাগুলির ওপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। নজরদারি যথেষ্ট আঁটোসাঁটো না হওয়ায় অভিযোগ পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করতেই ই-ওয়ালেট সংস্থাগুলির ৪৮ ঘণ্টা লেগে যায়।

এটুকু শুনেই যদি আপনার কপাল কুঁচকে যায় তা হলে আরও ভাঁজ পড়া এখনও বাকি। আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক, ডিজিটাল পেমেন্টের বিভিন্ন মাধ্যমের কোনটায় লুকিয়ে রয়েছে কী বিপদ।

অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট ফান্ড ট্রান্সফার বা পয়েন্ট অফ সেল মেশিনের সাহায্যে লেনদেন। ডিজিটাল পেমেন্টে অন্যতম মাধ্যম আপনার ডেবিট কার্ড-ক্রেডিট কার্ড। আনঅথরাইজড POS মেশিনে কার্ড ঘষে আপনার কার্ডের তথ্য কপি করে নিতে পারে হ্যাকাররা। কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে POS মেশিনে ব্যবহৃত ইন্টারনেট নেটওয়ার্কও হ্যাক করে নিতে পারে হ্যাকাররা। ম্যালঅয়্যার যুক্ত কার্ড ব্যবহার করে ATM নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণও হ্যাকাররা নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারে।

আরও পড়ুন সচিন স্টাম্প আউট হয়েছেন টেস্ট কেরিয়ারে একবার, সেটাও বীরুর জন্য!

বিপদ লুকিয়ে আছে অনলাইন লেনদেনেও।

আপনার কম্পিউটার কোনওভাবে হ্যাক হলে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে অনলাইন লেনদেনের যাবতীয় ডিটেলস। মোবাইল অ্যাপে কার্ডের তথ্য সেভ রাখলেও আসতে পারে বিপদ। সতর্ক না হলে ডিজিটাল ওয়ালেটও আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ই-ওয়ালেটের সুরক্ষায় যথেষ্ট ফাঁক রয়েছে। এ জন্য OTP-নির্ভর ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন তাঁরা। 

ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা অনেক। কিন্তু, ভয় পেয়ে কি এ থেকে পিছিয়ে যাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সতর্কতা বজায় রাখলে আপনি অনেকটাই নিরাপদ। অনলাইনে কার্ড ডিটেলস সেভ করবেন না। বিক্রেতার হাতে কার্ড দেবেন না। তাঁকে POS মেশিন আপনার কাছে নিয়ে আসতে বলুন। ওয়েবসাইটে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার আগে সাইট আসল কিনা নিশ্চিত হোন। সংখ্যা, স্পেশাল ক্যারেকটার, ক্যাপিটাল লেটার, স্মল লেটার মিলিয়ে যতটা সম্ভব জটিল এবং দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ডিজিটাল ওয়ালেট এবং নেট-ব্যাঙ্কিংয়ে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বড় অঙ্কের লেনদেনে ডিজিটাল ওয়ালেটের বদলে কার্ড ব্যবহার করুন। নতুন সংস্থার ক্ষেত্রে কার্ড-অন-ডেলিভারির বদলে ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পেমেন্ট করুন। পেমেন্ট হয়ে গেলেই ডিজিটাল ওয়ালেট লগ-অফ করতে ভুলবেন না।পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করে অনলাইন লেনদেন করবেন না।

.