মদ্যপ ক্যাপ্টেনের ভুলেই ডুবেছিল `টাইটানিক`?

ইতিহাস বলছে, অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পর নৈশভোজের পার্টি থেকে নিজের কেবিনে এসে জাহাজের সঙ্গেই ডুবে যাওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন `টাইটানিক`-এর ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ। কিন্তু বিলাসবহুল জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলা যাত্রী এমিলি রিচার্ডস-এর একটি চিঠিতে পাওয়া তথ্যে বদলে যেতে পারে `টাইটানিক`-এর ডুবে যাওয়ার ইতিহাস।

Updated By: Mar 10, 2012, 03:20 PM IST

প্রায় ১০০ বছর আগে বিলাসবহুল জাহাজ `টাইটানিক`-এর ডুবে যাওয়ার ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ইতিহাস বলছে, অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের হিমশৈলে ধাক্কা লাগার পর নৈশভোজের পার্টি থেকে নিজের কেবিনে এসে জাহাজের সঙ্গেই ডুবে যাওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন `টাইটানিক`-এর ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথ। কিন্তু প্রমোদতরী থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলা যাত্রী এমিলি রিচার্ডস-এর একটি চিঠিতে পাওয়া তথ্যে বদলে যেতে পারে `টাইটানিক`-এর ডুবে যাওয়ার ইতিহাস।
ব্রিটিশ দৈনিক `ডেইলি মেল`-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি নজরে আসা ওই চিঠিতে `টাইটানিক`-এর ডুবে যাওয়ার জন্য ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্মিথকেই দুষেছেন রিচার্ডস। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ১৯১২-র ১৫ এপ্রিল রাতে `টাইটানিক` যখন হিমশৈলে ধাক্কা মারে, তখন জাহাজের একটি পানশালায় বসে মদ খাচ্ছিলেন স্মিথ। ধাক্কা মারার পরেও তিনি চুড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। ডুবন্ত `টাইটানিক`-এর উদ্ধারকারী জাহাজ `কারপ্যাথিয়া`-য় বসেই চিঠিটি লিখেছিলেন `টাইটানিক`-এর দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী রিচার্ডস। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ২৪। রিচার্ডস ও তাঁর ২ ছেলেকে একটি লাইফবোটে উদ্ধার করা গেলেও অ্যাটলান্টিকের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা জলে ডুবে মৃত্যু হয় রিচার্ডসের ভাই জর্জের।

রিচার্ডস তাঁর শাশুড়িকে একটি চিঠিতে লেখেন, ``রবিবার রাত ১১টায় হিমশৈলে ধাক্কা মারে জাহাজটি। তখন পানশালায় মদ খেতে খেতে অন্য এক ব্যক্তিকে ব্যাপারটি দেখার জন্য দায়িত্ব দিলেন। এটা ক্যাপ্টেনের ভুলেই হয়েছে। যতদূর জানি, আমার হতভাগ্য ভাইটা জলে ডুবে মারা গিয়েছে।`` নিউইয়র্কে নিজের বাড়িতে ফিরে আরও একটি চিঠি লিখেছিলেন রিচার্ডস। দুটি চিঠিই যৌথ ভাবে ২০,০০০ পাউন্ডে নিলামে বিক্রি করল নিলাম সংস্থা হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন ও উইলটস্।
আর কয়েক দিন পরেই ২০১২-র ১৫ এপ্রিল। `টাইটানিক`-এর সমাধির শতবর্ষ পূর্তির প্রাক্কালে এমিলি রিচার্ডস-এর চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

.