শনিবার রাহুল শ্রমিকের দুর্দশার কথা সংসদে তোলার আশ্বাস দিলেন, রবিবার বন্ধ হল একদিনে তিনটি জুটমিল
একদিনে বন্ধ হয়ে গেল হুগলির তিনটি জুটমিল। কাজ হারালেন প্রায় বারো হাজার শ্রমিক। কাঁচামালের অভাব, উত্পাদন কমের কারণ দেখিয়ে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলাল কর্তৃপক্ষ। মানতে নারাজ শ্রমিকেরা।
ওয়েব ডেস্ক: একদিনে বন্ধ হয়ে গেল হুগলির তিনটি জুটমিল। কাজ হারালেন প্রায় বারো হাজার শ্রমিক। কাঁচামালের অভাব, উত্পাদন কমের কারণ দেখিয়ে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলাল কর্তৃপক্ষ। মানতে নারাজ শ্রমিকেরা।
রাজ্যে এসে শনিবারই রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলে যান রাহুল গান্ধী। শ্রমিকদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। সটান চলে যান শ্রমিক মহল্লায়। চটকল শ্রমিকের দুর্দশার কথা সংসদে তোলার আশ্বাসও দেন। সেই দুর্দশা যে এই মুহূর্তে কাটার কোনও লক্ষণ নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গেল পরদিনই। রবিবারই বন্ধ হয়ে গেল হুগলির তিনটি জুটমিল।
শনিবার রাত পর্যন্ত চলেছে কাজ। রবিবার সকালেও জানতেন না কেউ। শ্রমিকেরা কাজে এসে দেখেন, ভদ্রেশ্বরের নর্থব্রুক জুটমিলে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস। গতবছর খুন হন মিলের সিইও। তারপর থেকেই মিলে অচলাবস্থা শুরু। এবার বন্ধ হয়ে গেল মিল। উত্পাদন কমের কারণ দেখিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মানতে নারাজ কাজ হারানো প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক।
অচলাবস্থা চলছিলই। শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুট মিলেও এদিন ঝোলানো হয় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। কাজ হারিয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। কর্তৃপক্ষের দাবি, কাঁচামালের অভাবেই মিল বন্ধ করতে হয়েছে। শ্রমিকেরা অবশ্য এই দাবি মানতে চান না।
রিষড়ার হেস্টিংস জুটি মিলেরও একই দশা। কিছুদিন আগেই মিল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বাইশজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে। তাঁদের বের করে দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে চলতি মাসের এক তারিখ থেকেই কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকেরা। এদিন ঝুলল সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস । কাজ হারিয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক।
রাহুল এসেছেন। হয়তো আসবেন আরও নেতা। তাঁরা আশ্বাসও দেবেন। কিন্তু আদৌ কি দুর্দশা কাটবে রাজ্যের চটকল শ্রমিকদের?