পর্যাপ্ত জলের অভাবে জল ছাড়তে পারছে না ডিভিসি, মাথায় হাত চাষিদের, বৈঠকে মন্ত্রী
জলাধারে পর্যাপ্ত জল নেই। তাই জল ছাড়তে পারছে না ডিভিসি। মাথায় হাত চাষিদের। মাঠেই আমন ধান শুকিয়ে কাঠ। শীতের সবজি ফলাতেও হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা। অবস্থা সামলাতে বৈঠকে বসলেন কৃষিমন্ত্রী।
ব্যুরো: জলাধারে পর্যাপ্ত জল নেই। তাই জল ছাড়তে পারছে না ডিভিসি। মাথায় হাত চাষিদের। মাঠেই আমন ধান শুকিয়ে কাঠ। শীতের সবজি ফলাতেও হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা। অবস্থা সামলাতে বৈঠকে বসলেন কৃষিমন্ত্রী।
প্রবল বর্ষণে একসময় জলের তলায় চলে গিয়েছিল রাজ্যের বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। মাথায় হাত পড়েছিল চাষিদের। এবার উলটপুরাণ। জল নেই। ফুটিফাটা চাষজমি। আমন ধান এবং শীতের ফসল ফলাতে মাথায় হাত চাষিদের।
রাজ্যের ধানের গোলা ফুটিফাটা। চাষের জল নেই। আমন ধান ফলাতে কৃষকদের মাথায় হাত। বর্ধমান, রায়না, মন্তেশ্বরের বিস্তীর্ণ চাষজমিতে জলের অভাব। এই সময় ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হয়। কিন্তু জলাধারে পর্যাপ্ত জলের অভাবে জল ছাড়তে পারেনি ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ফলে নদীনালা শুকনো। মাইথনে এই সময় জল থাকার কথা চারশো আশি ফুট। কিন্তু রয়েছে মাত্র চারশো ষাট ফুট। পাঞ্চেতে থাকার কথা চারশো দশ ফুট। সেখানে রয়েছে তিনশো একানব্বই ফুট জল। তেনুঘাটে থাকার কথা আটশো পয়ষট্টি ফুট জল। কিন্তু রয়েছে আটশো পঞ্চাশ ফুট। প্রথমদিকে বন্যা হলেও পরেরদিকে তেমন বৃষ্টি পায়নি রাজ্য। ফলে জলাধারগুলি জল ধরে রাখতে পারেনি। তার প্রভাব পড়ছে চাষে।
শুধু বর্ধমানই নয়, সঙ্কট হুগলিতেও। আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমিতে জল নেই। এই জেলায় জলের মূল উত্স মুণ্ডেশ্বরী নদী। কিন্তু ডিভিসি জল না ছাড়ায় এই নদীতেও জল নেই। অবস্থা সামলাতে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী। জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া না হলে আদৌ কি সমস্যা মিটবে? পর্যাপ্ত উত্পাদন না হলে চাহিদার জোগানই বা আসবে কোথা থেকে?ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না চাষিরা।