বাঁকুরার বিষ্ণুপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু তিন হাতির, গাফিলতির অভিযোগ বনদফতরের বিরুদ্ধে
ওয়েব ডেস্ক : রেললাইন জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহের অংশ। খণ্ড-বিখণ্ড। ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আর সেই ছবিই দেখল বাঁকুড়া। দেখল রাজ্যবাসীও। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিন-তিনটি হাতির। যার মধ্যে দুটি শাবক। অপরটি মা-হাতি। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পিয়ারডোবা স্টেশনের মাঝে।
ওয়েব ডেস্ক : রেললাইন জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহের অংশ। খণ্ড-বিখণ্ড। ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আর সেই ছবিই দেখল বাঁকুড়া। দেখল রাজ্যবাসীও। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিন-তিনটি হাতির। যার মধ্যে দুটি শাবক। অপরটি মা-হাতি। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পিয়ারডোবা স্টেশনের মাঝে।
বনকর্মীদের অনুমান, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে লাইন পেরোতে গিয়েই, খড়গপুর-আদ্রা প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় কাটা পড়ে হাতিগুলি। দলে ছিল মোট পাঁচটি হাতি। এর মধ্যে দুটি হাতি বেঁচে গেলেও, মা ও দুই শাবকের মর্মান্তিক মৃত্যু এড়ানো যায়নি।
আরও পড়ুন- বন্যার জেরে বাড়ি ভেঙে মাত্র তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু
বাঁকুড়ায় তিনটি হাতির ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু, একইসঙ্গে তুলে দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড়, এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না? দায় কি একেবারেই নেই বন দফতরের? বিষ্ণুপুর ও পিয়ারডোবার মাঝে যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটে, বছর দুয়েক আগেও সেখানে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি হাতির। মূলত দলমা থেকে এরাজ্যে আসা এবং ফিরে যাওয়া, দুক্ষেত্রেই এই পথটিই ব্যবহার করে হাতির দল। জেলায় যে রেসিডেন্সিয়াল হাতিগুলি রয়েছে, অর্থাত্ যেগুলি এখানেই থেকে গিয়েছে তারাও বিষ্ণুপুর-পিয়ারডোবার মাঝের এলাকা দিয়ে যাতায়াতে অভ্যস্ত। একদিন নয়, বহুদিন ধরে চলছে এই রুটে হাতিদের আসা-যাওয়া। তবু কেন ঘন জঙ্গলে ঘেরা এই পথটি এলিফ্যান্ট করিডর হিসেবে চিহ্নিত করা হল না? হাতিদের সেফ প্যাসেজের ব্যবস্থা করতে কেন উদ্যোগ নেয়নি বনদফতর? এলিফ্যান্ট করিডর হিসেবে চিহ্নিত করলে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনের স্পিডে লাগাম পড়ত। কমত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। কিন্তু তা করা হয়নি। তবে কি বনদফতরের উদাসীনতারই বলি হতে হত এই তিন-তিনটি হাতিকে? এই অবস্থায় এড়ানো যাচ্ছে না এ প্রশ্নও।