আবেশকে কে খুন করেছে তা এখন ওপেন সিক্রেট, কিন্তু তার শাস্তি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
বন্ধুবান্ধবদের মুখে কুলুপ। তবে শোনা যাচ্ছে আবেশেরই ছোটবেলার বন্ধু রাগের মাথায় খুন করেছে। সেই বন্ধুর বয়স ১৭। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে এগোবে মামলা? কী বলছে আইন।
ওয়েব ডেস্ক: বন্ধুবান্ধবদের মুখে কুলুপ। তবে শোনা যাচ্ছে আবেশেরই ছোটবেলার বন্ধু রাগের মাথায় খুন করেছে। সেই বন্ধুর বয়স ১৭। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে এগোবে মামলা? কী বলছে আইন।
বয়স ১৮-র নীচে হলেই খুন করে পার পাওয়ার উপায় আর নেই। নির্ভয়া কাণ্ডের পরে নাবালক আইনে বদল এনেছে কেন্দ্র। নতুন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ বা খুনের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে নাবালক আইন খাটবে না। অপরাধীর বয়স ১৬-র বেশি হলেই তার ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইন কার্যকর হবে। অপরাধীর বিচার ফৌজদারি আইনে হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড।
আরও পড়ুন বালিগঞ্জে কিশোর খুনের ঘটনায় উঠে আসছে নানা তথ্য
আবেশকে কে খুন করেছে তা ওপেন সিক্রেট। নামটা সকলেই জানে। কিন্তু, মুখ খুলতে রাজি নয় কেউই। আবেশের হত্যাকারীর বিচার যদি ফৌজদারি আদালতেই হয়, তারপরেও থাকছে প্রশ্ন। কোন ধারায় মামলা রুজু করবে পুলিস?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের অপরাধের ধরণ ও শাস্তি নির্দিষ্ট করেছে। কেউ যদি শেষ করে ফেলার উদ্দেশ্যেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউকে খুন করে তাহলে এই ধারা কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে আবেশকে সম্ভবত খুন করা হয়েছে রাগের মাথায়। পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় বলা হয়েছে অনিচ্ছাকৃত খুন ও শাস্তির কথা। দুইয়ের উপধারায় বলা হয়েছে মৃত্যু হতে পারে বুঝেও রাগের মাথায় আঘাত করার কথা। এক্ষেত্রে দীর্ঘ বচসার পর আবেশকে ভাঙা বোতল দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন মাল বোঝাই লরি মা ও শিশুকে পিষে দেওয়ার অভিযোগে দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি বাসিন্দাদের
আবেশ হত্যায় অনিচ্ছাকৃত খুন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিস জানতে পেরেছে, খুনের আগে দুই বন্ধুর মধ্যে দীর্ঘ বচসা হয়েছিল। পুলিস জানতে চায়, আবেশও কি তার বন্ধুকে আঘাত করেছিল? তবে পুলিস কোন ধারায় মামলা সাজাবে তা তাদের তদন্ত সাপেক্ষ। যদিও, পুলিস যে ধারাই দিক চার্জ গঠনের সময়ে অপরাধের ধরন দেখে বিচারক তা বদলে দিতে পারেন।