ছত্তিসগড়: আজ শেষ হচ্ছে সময়সীমা, কোবরা তৈরি রাখছে কেন্দ্র

ছত্তিসগড়ে জেলাশাসকের মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মাওবাদীদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা বুধবারই শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবারই সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে মাওবাদীরা। অন্যদিকে, অপহৃত জেলাশাসকের মুক্তি আলোচনার জন্য আরও এক মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করেছে তারা।

Updated By: Apr 25, 2012, 08:31 AM IST

ছত্তিসগড়ে জেলাশাসকের মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মাওবাদীদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা বুধবারই শেষ হচ্ছে। মঙ্গলবারই সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে মাওবাদীরা। অন্যদিকে, অপহৃত জেলাশাসকের মুক্তি আলোচনার জন্য আরও এক মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করেছে তারা। প্রস্তাবিত মধ্যস্থতাকারীর নাম হরগোপাল। ইতিমধ্যেই দুই মধ্যস্থতাকারীর নাম ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মাওবাদীরা নতুন মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করে সরকারের সেই সিদ্ধান্তের প্রতি অনাস্থা দেখাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 
অপহৃত জেলাশাসকের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার রাতে হরগোপালের নাম প্রস্তাব করেছে মাওবাদীরা। হরগোপাল হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক। তিনি বর্তমানে মানবাধিকার কর্মী। এর আগে ওড়িশার মালকানগিরির জেলাশাসক বিনীল কৃষ্ণার অপহরণের সময়ের আলোচনার জন্য তাঁর নামই প্রস্তাব করেছিল মাওবাদীরা। এদিকে, মঙ্গলবারই নতুন করে দুজন মধ্যস্থতাকারীর নাম প্রস্তাব করেছে ছত্তিশগড় সরকার। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যসচিব, নির্মলা বুচ এবং এস কে মিশ্রের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তার আগে মাওবাদীদের প্রস্তাবিত দুই মধ্যস্থতাকারী মণীশ কুঞ্জম ও টিম আন্নার সদস্য প্রশান্ত ভূষণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে আপত্তি জানান। তবে মধ্যস্থ হতে না-চাইলেও, অপহৃত জেলাশাসকের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেন মণীশ কুঞ্জম।
সোমবার রাতে মাওবাদীদের দক্ষিণ বস্তার ডিভিশনাল কমিটির সচিব বিজয় মারকেমের স্বাক্ষরিত ই-মেল বার্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছয়। রমন সিং সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে মাওবাদীরা জানায়, অপহৃত জেলাশাসকের শারীরিক অবস্থা খারাপ। তবে প্রবল চাপের মধ্যে থাকলেও রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই যে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং।
অ্যালেক্স পল মেননের মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন সমস্ত দলের সাংসদরাও। অন্ধ্র ওড়িশা সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। জেলাশাসকের মুক্তির জন্য প্রয়োজনে কোবরা বাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।

.