মুম্বইয়ে জল জমে না! বন্যায় পাটনায় প্রবল জমা জল নিয়ে সাফাই নীতীশ কুমারের
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাটনায় জল ঢুকে গিয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর বাড়িতে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারের প্রবল বন্যায় কড়া প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজধানী পাটনার অবস্থা খুবই খারাপ। জল ঢুকেছে পাটনা মেডিক্যলে। জলের তলায় পাটনার রাজেন্দ্র নগর। খোদ উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে পুলিস গিয়ে উদ্ধার করেছে। এরকম এক অবস্থায় জমা জল নিয়ে প্রশ্ন করার মেজাজ হারালেন নীতীশ।
আরও পড়ুন-অত বড় পায়ের ছাপ কার? বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে বীরভূমের গ্রাম
রাজ্যে যেভাবে জল জমেছে তার কী হবে? সাংবাদিকদের ওই প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারালেন নীতীশ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গায় জল জমেনি? আমেরিকায় কী হয়েছে? মুম্বইয়ে কী হয়েছে?
#WATCH Bihar Chief Minister Nitish Kumar after visiting flood-affected areas in Patna: I am asking in how many parts of the country & across the world, there have been floods? Is water in some parts of Patna the only problem we have? What happened in America? #BiharFloods pic.twitter.com/9XfNcuZr0H
— ANI (@ANI) October 1, 2019
নীতীশ কুমার বলেন, রাজেন্দ্রনগরে জমা জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জল সরানোর জন্য বাইরে থেকে পাম্প আনা হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ করা হচ্ছে। এই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে। কখনও একেবারে খরা। আবার কখনও প্রবল বৃষ্টি শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টিতে বেহাল বিহার। পাটনা-সহ রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই বন্যা পরিস্থিতি প্রায় ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।
পাটনায় জল ঢুকে গিয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ প্রাক্তন দুই মন্ত্রীর বাড়িতে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বন্যায় আটকে থাকা লোকজনদের উদ্ধার কার জন্য বায়ুসেনার কাছে আবেদন করেছে বিহার সরকার। রাজ্যে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন-দামোদরের জলে ভাসছে পুরশুড়ার বিশাল এলাকা, জল বাড়ায় বড় ক্ষতির আশঙ্কায় মানুষজন
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের বন্যা পরিস্থিতিও ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০৫ জনের। পাশাপাশি দুর্গাপুর, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়তে পারে।