শ্রীনগরে ফের লাগু বিধিনিষেধ, লাউড স্পিকারে মানুষজনকে ঘরে ফিরতে নির্দেশ পুলিসের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। ওইসব ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি মানুষ জড়িত ছিল না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পরও উপত্যকা শান্ত বলে দাবি করা হয়েছিল সরকারের তরফে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খোঁজে রাস্তায় নেমেছিলেন মানুষজন। এর মধ্যেই রবিবার ফের বিধিনিষেধ জারি হল শ্রীনগরে। ফলে ইদের একদিন আগে ফের বেকায়দায় পড়ে গেলেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন-‘জওহরলাল নেহরু একজন ক্রিমিন্যাল, তাঁর জন্যই আজ পাকিস্তানের দখলে কাশ্মীরের একাংশ’
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে বিধিনিষেধ জারির কথা ঘোষণা করা হয় পুলিসের গাড়ি থেকে। মানুষজনকে ঘরে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দোকান বন্ধ করে দিতে বলা হয় দোকানদারদের।
শনিবারই রাজ্য পুলিসের তরফে ঘোষণা করা হয়, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি কাশ্মীর উপত্যকায়। পাশাপাশি রাজ্যের ডিজি দিলবাগ সিং সংবাদমাধ্যমে বলেন, ছোটখাটো পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ছাড়া কোথাও কোনও বড় হিংসার ঘটনা ঘটেনি। ওই সব অশান্তির চেষ্টা শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে রাজ্যের প্রধান সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম সাধারণ মানুষকে কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই গুজব রটতে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালিয়েছে পুলিস।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। ওইসব ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি মানুষ জড়িত ছিল না। কোনও কোনও মহল থেকে রটানো হয় শ্রীনগরে ১০,০০০ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওই দাবি আদৌ সত্যি নয় বলে জানানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।
আরও পড়ুন-প্লাস্টিকে মোড়া খণ্ড-বিখণ্ড দেহ, উদ্ধার হল নরেন্দ্রপুরে খালের জলে
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের কমপক্ষে ৪০০ রাজনৈতিক নেতা বর্তমানে হয় গৃহবন্দি নয়তো গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তা বেরিয়ে আসছে না বলেই দাবি সংবাদমাধ্যমের।