ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল

ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার। এ বার ভোটে ত্রিপুরায় তাঁরা শাসকদলের মর্যাদা অর্জন করবেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Aug 29, 2016, 08:35 PM IST
ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল

ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার। এ বার ভোটে ত্রিপুরায় তাঁরা শাসকদলের মর্যাদা অর্জন করবেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ত্রিপুরা বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা ষাট। সাতই জুন কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত দশ বিধায়কের মধ্যে ছ-জন তৃণমূলে যোগ দেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।

আরও পড়ুন জেনেই হোক অথবা না জেনেই, নীল আলো শহরে বসানোর জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই মুখ্যমন্ত্রীকে

কংগ্রেসের যুক্তি ছিল, দলত্যাগী বিধায়কদের মধ্যে একজনকে আগেই বহিষ্কার করা হয়। ফলে, দলছুটদের সংখ্যা পাঁচ ধরে নিয়ে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে হবে। তৃণমূল পাল্টা যুক্তি দেয়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দল কাউকে বহিষ্কার করলে সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বহিষ্কারের আগে কেউ দলত্যাগ না করলে তাঁকে সেই দলের বিধায়ক বলেই ধরে নিতে হবে।

তৃণমূলের যুক্তি মেনে নিয়েছেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ বহাল রেখেছেন তিনি। ফলে, ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি পেল তৃণমূল পরিষদীয় দল। তবে, তৃণমূলের যা বিধায়ক সংখ্যা তাতে কোরাম হচ্ছে না, এই যুক্তিতে তাদের বিরোধী দলনেতার পদ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার।

আরও পড়ুন ভোটারদের স্বার্থরক্ষায় নির্বাচনী সংস্কারের পথে কেন্দ্র

স্পিকারের যুক্তি মানছে না তৃণমূল। বিধানসভার এক-দশমাংশ সদস্য তাদের হওয়ায় বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া উচিত বলে দাবি তৃণমূলের। পরিষদীয় দলনেতা ঠিক হওয়ার পরই এ নিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে তৃণমূল।

ত্রিপুরা জয় পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই, আগরতলায় জনসভা করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ায় তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় পৌছে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.