চলবে কী করে; কাঁচামাল দেওয়া হোক ঘরে বসেই কাজ করব, আবেদন বিড়ি শ্রমিকদের

রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে বিড়ি শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে জেলা পুলিস প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে ঔরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ান বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

Updated By: May 18, 2021, 06:13 PM IST
চলবে কী করে; কাঁচামাল দেওয়া হোক ঘরে বসেই কাজ করব, আবেদন বিড়ি শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে লকডাউনের মতো পরিস্থতিতে মহাসঙ্কটে মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিকরা। জেলায় বিড়ি বাঁধার উপরে নির্ভর করে জীবন চালান ১৩ লাখ মানুষ। শুধুমাত্র জঙ্গিপুর মহকুমাতেই রয়েছেন ১১ লাখ বিড়ি শ্রমিক। এই বিপুল সংখ্যক বিড়ি শ্রমিকের হাতে এখন কাজ নেই। কারণ করোনা মোকাবিলায় জারি রাজ্যের বিধিনিষেধ। ওইসব বিড়ি শ্রমিকদের আবেদন, বাড়িতে বসেই যেহতু বিড়ি বাঁধা যায় সেহেতু তাঁদের কাঁচা মাল দেওয়া হোক। বিড়ি বেঁধে এই সময়টায় অন্তত সংসারটা চলুক।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন-চিকিত্সায় গাফিলতিতেই মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ কোভিডে মৃত ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের

মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) বিড়ি মজদুর ও প্যাকার্স ইউনিয়নের যুক্তি, এই পরিস্থিতিতেও ঘরে বসে বিড়ি বাঁধা সম্ভব। তাতে শ্রমিকরা অন্তত দৈনিক মজুরিটা পাবেন। পাশাপাশি সরকার নির্দেশ অমান্য না করেও কারখানার ভেতরে বিড়ির সংখ্যা গোনা ও লেবেলের কাজ করা সম্ভব। মালিকপক্ষ এনিয়ে ব্যবস্থা নিক। রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে বিড়ি শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে জেলা পুলিস প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে ঔরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ান বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

মুর্শিদাবাদ বিড়ি ব্যবয়াসী সমিতির সদস্য, মহম্মদ নুর আলম বলেন, বিড়ি শ্রমিকরা বাড়িতে বসেই কাজটা করেন। কালেকশন সেন্টারের মাধ্যমে বিড়ি ফ্যাক্টরিতে আসে। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা। এরা এতই নিম্নবিত্ত পরিবারের যে এদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন, এইসব শ্রমিকদের কথা ভেবে একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। চাষের ক্ষেত্রে যেমন ছাড় দেওয়া হয়েছে তেমনি কোভিড বিধি না ভেঙেও বিড়ি শিল্পের জন্য কিছু ছাড় দেওয়া হোক যাতে ওইসব গরিব শ্রমিকরা কাজ পান। এনিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে বিড়ি শ্রমিক সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন-ভোটে সাহায্য করেছিলেন কংগ্রেস-বিজেপিকে, মালদহে বহিষ্কৃত TMC-র ৫ নেতা  

অন্যদিকে, জঙ্গিপুরের(Jangipur) সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, জঙ্গিপুর লোকসভার সাংসদ হিসেব বলব, মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে লকডাউনের মতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার। তবে আমাদের এলাকার মানুষের রোজগারের প্রধান উত্সই হল বিড়ি বাঁধা। বর্তমানে বিড়ির কাজ বন্ধ। চাষের সুযোগও এখানে নেই। রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ, যেভাবে চা শিল্পে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেভাবেই বিড়ি শিল্পের ক্ষেত্রেও এরকম কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হোক। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষজন বাড়িতে বলে কাজ করেন। এতে তার কাজও হল আর লকডাউনও মানা হল। এতে তার রোজগারের ব্যবস্থাও চালু থাকবে। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব, এনিয়ে একটা পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

.