রাজ্যে দীর্ঘতম, মমতার হাত ধরে Teesta নদীর উপরে উদ্বোধন হল 'জয়ী সেতু'-র
জয়ী সেতুর কাজ কাজ শেষ হলেও এখনও মেখলিগঞ্জের(Mekhliguange) দিক থেকে সংযোগকারী রাস্তা পুরোপুরি তৈরি হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাবি ছিল বহু দিনের। এবার ভোটের মুখে সেই দাবি পূরণ হল মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লকের মানুষজনের। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হল তিস্তার উপরে তৈরি হওয়া রাজ্যের দীর্ঘতম সেতুর।
মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি ব্লকের সংযোগকারী ওই সেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে 'জয়ী সেতু'। তিস্তা(Teesta) নদীর উপর নির্মিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ২৭০০ মিটার। এটি রাজ্যের দীর্ঘতম সেতু। এতদিন এই রেকর্ড ছিল ফরাক্কা সেতুর দখলে। ফরাক্কা সেতুর দৈর্ঘ্য ২২৪০ মিটার।
আরও পড়ুন-Budget 2021: Nirmala-র ঘোষণায় দাম বাড়ল কোন জিনিসের, সস্তা হল কোন পণ্য?
জয়ী সেতুর কাজ কাজ শেষ হলেও এখনও মেখলিগঞ্জের(Mekhliguange) দিক থেকে সংযোগকারী রাস্তা পুরোপুরি তৈরি হয়নি। পূর্ত দফতর ও নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়াশার জন্য সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ ব্যাহত হয়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি ও ভরা বর্ষায় কাজের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়। সেই সময় সংযোগকারী রাস্তা কেটে বন্যার জল যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এরকম এক অবস্থায় আজ মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) শিলিগুড়ি থেকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে জয়ী সেতু-র উদ্বোধন করলেন। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সেতুর উদ্বোধন না করায় মুখ ভার মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির বাসিন্দাদের একাংশের। তবে এদিনের উদ্বোধন ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন সেতুতে ৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেতুর উপর তৃণমূল কর্মীরা বিশাল মিছিল করে। মিছিল পা মেলান তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়, স্থানীয় বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান সহ অনেকে নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন-বাজেট বিবর্তন : ব্রিফকেস, বহি খাতা, ট্যাবলেট
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, রাস্তার কাজ শেষ না হতেই তড়িঘড়ি সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বের ক্ষোভ, জয়ী সেতু কেন্দ্র সরকারের টাকায় নির্মিত। তার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রতিনিধি কিংবা স্থানীয় সাংসদকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিজেপির মেখলিগঞ্জ উত্তর মন্ডল সভাপতি দধীরাম রায় জানান, ছিটমহল বিনিময়ের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। কাজেই সম্পূর্ণ খরচের টাকা বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল নেতৃত্ব মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সেতু তৈরির কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে দিচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ জানেন জয়ী সেতু তৈরির প্রধান কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।