জেনে নিন ফটকিরির ৮টি অজানা ব্যবহার
আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফটকিরির এমন বেশ কিছু ব্যবহার যা হয়তো আপনার অজানা!
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাধারণত জলকে পরিশোধিত করতে ফটকিরি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই ছোট্ট জিনিসটা আরও বিভিন্ন কাজে লাগে। ত্বকের সমস্যা থেকে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ফটকিরি খুবই কাজের জিনিস। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফটকিরির এমন বেশ কিছু ব্যবহার যা হয়তো আপনার অজানা!
মুখে ব্রণ হলে ফটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ মুলতানি মাটি, দু’চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চামচ ফটকিরি গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই মিশ্রণ মুখে মাখুন। দ্রুত উপকার মিলবে।
ফটকিরি ডিওড্র্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফটকিরির গুঁড়োর সঙ্গে গন্ধরস মেশান। গন্ধরস বা মস্তকি এক ধরনের গাছের আঠা বিশেষ। এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি করে নিন নিজের ডিওড্র্যান্ট।
দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেক সময় মুখে গন্ধে হয়। ফটকিরি এই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সক্ষম। এক গ্লাস জল ফোটান। তার মধ্যে এক চিমটে নুন আর ফটকিরির গুঁড়ো মেশান। মিশ্রণ ঠান্ডা হলে, তা দিয়ে কুলকুচি করুন। নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবে কুলকুচি করতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
মুখের ভিতরে কোনও ঘা হলে, সেখানে ফটকিরি লাগান। জ্বালা করতে পারে, কিন্তু মুখের ঘা তাড়াতাড়ি শুকোবে। তবে এই সময় মুখের লালা গিলে ফেলবেন না।
মুখে, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে? চিন্তা নেই। এক টুকরো ফটকিরি জলে ভিজিয়ে তা মুখে ভাল করে ঘষুন। তার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
শিশুদের মাথায় প্রায়ই উকুন ও উকুনের ডিম হয়। জলে ফটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে তার মধ্যে একটু চা গাছের তেল (টি ট্রি অয়েল) মেশান। এ বার ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্পে) মাসাজ করুন। এর পরে শ্যাম্পু করে নিন। দ্রুত ফল মিলবে।