Last Updated: May 26, 2013 14:11
শেষপর্যন্ত শ্রীনির জামাইকে সাসপেন্ড করল বিসিসিআই। আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিসি হেফাজতে গুরুনাথ মেয়াপ্পান। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না গুরুনাথ মেয়াপ্পন। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা নিজের কুর্শি বাঁচাতে জামাইকে নির্বাসনে পাঠালেন শ্রীনি। উদ্দেশ্য অবশ্যই নিজের ইমেজ বাঁচানো।
তবে মোটামুটি আজ বিকেলের মধ্যেই পরিষ্কার হতে চলেছে শ্রীনির ভাগ্য। কলকাতার বুকে আইপিএল ট্রফিটা কার হাতে উঠবে তার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে বিসিসিআই সভাপতির গদিটা আপাতত কে দখল করতে চলেছেন।
যদিও শ্রীনিবাসনের দাবি বোর্ডের ৩১জন ভোটিং সদস্যের মধ্যে ১৭ জন তাঁকে সমর্থন করছেন। ফলে তাঁর গদি হারানোর আশঙ্কাই এখন নেই।
অন্যদিকে, শ্রীনির বিরুদ্ধপক্ষ কিন্তু চুপ করে নেই। গুটি সাজাচ্ছেন অরুণ জেটলিরাও। জগমোহন ডালমিয়া এক্ষেত্রে হতেই পারেন নির্নায়ক ফ্যাক্টর। গতকাল রাতেই সিএবির ডাকা নৈশভোজে দু`পক্ষই নিজের শক্তি যাচাইয়ের দিকে মন দিয়েছিলেন।
আইপিএলের ফাইনালে অংশগ্রহণ করতে শহরে এখন অরুণ জেটলিও। আজ সকালেই তাঁর সঙ্গে এক প্রস্থ মিটিং সেরে রেখেছেন শ্রীনিবাসন।
তবে শ্রীনি সরে গেলে কে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হবেন সেটাই এখন প্রশ্ন। অরুণ জেটলি স্বাভাবিক ভাবেই পরবর্তী টার্মে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হবেনই। তাই তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি কতখানি আগ বাড়িয়ে বাড়তি দায়িত্ব নিতে যাবেন সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই অনেক বোর্ড সদস্যেরই। তাই আইপিএল ফিক্সিং কাণ্ডের বোর্ড পর্বের অন্তিম ভাগ নিয়ে জোরদার সমীকরণের মহড়ায় মেতেছেন সবপক্ষই।
First Published: Sunday, May 26, 2013, 19:10