"লিনের ক্যাচটা দেখেছিস...জাস্ট ভাবা যায় না"

"লিনের ক্যাচটা দেখেছিস...জাস্ট ভাবা যায় না"

Tag:  Chris Lynn KKR RCB
এবারের আইপিএল সেভেনে জনপ্রিয় গানটা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার রাতে নাইট- বেঙ্গালুরুর শেষ দশ মিনিট ম্যাচ দেখুন। মনে হচ্ছিল না " কিপ কাম..কান্না..কিপ কাম...ওয়াচ ... আইপিএল..অন..."। সত্যি একটা মানুষ কতক্ষন ধৈর্য্য রাখতে পারে? উত্তেজনার একটা সীমা থাকে। ক্রিজে দাঁড়িয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে একদিনের ম্যাচে অনতম্য ক্রিকেটার ডিভিলিয়ার্স আর অপরদিকে অ্যালবি মর্কেল। ম্যাচ জিততে দরকার ৮ বলে ১০ রান। ইতিহাস বলে এটা কোনও ব্যাপার নয়। অন্তত যখন মারকাটারি ডিভিলিয়ার্স ও মর্কেল ক্রিজে দাঁড়িয়ে। এই ম্যাচ যে হাতাছাড়া কলকাতার মননে, যাপনে বুঝে নিয়েছেন গম্ভীর।

বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে ছয় ফুটের বেশী একটি দীর্ঘকায় শরীর যদি ক্যাচ ধরে মাটিতে পড়ে যায়, অঙ্কের হিসাবে কতদুরে থাকলে ছয় বাঁচানো যাবে বা ক্যাচটি ঠিকঠাক ধরা যাবে। খুব যদি নমনীয় শরীর হয় কমপক্ষে তিন ফুট দুরত্বে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরে শরীর ফেললে বাউন্ডারির দড়ির কাছাকাছি চলে আসবে। হয়ত থার্ড আম্পায়ারের নজরে আসতেও পারে। কিন্তু এত বলার কারন একটাই। ডিভিলিয়ার্সের মাস্টারস্ট্রোক আকাশ ছোঁয়া বল মাত্র দু`ফুট দুরত্ব থেকে ক্রিস লিনের হাতে ধরা পরল। তারপর? তারপর চোখের পলকে একটা অলিম্পিকের শ্রেষ্ঠ নির্দশন দেখল সারা বিশ্ব। শরীর যেন নিঁখুত দাঁড়িপাল্লা। ক্যাচ ধরার পর ধনুকাকৃতি শরীরে ব্যালান্স ধরে রাখলেন। মনে হচ্ছে যেন সামনেই গিরিখাত। একচুলও হেললেই বিপদের অশনি সঙ্কেত। হয়ত ক্যাচটা না ধরতে পারলে ম্যাচ হাতছাড়া হত। কারণ, ক্রিকেটে এক বলে জীবন। তার গ্যারান্টি স্বয়ং ঈশ্বরও দিতে পারেন না।

টানটান উত্তেজনায় কলকাতা নাইট রাইডারস ২ রানে ম্যাচ জিতল। তবে এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। লিগের ম্যাচ। আরও অনেক খেলার সুযোগ আছে। কিন্তু যেটা রয়ে গলে সেটা হল...ওলি-গলি, ক্লাব, চায়ের দোকান, ট্রাম, বাস, ট্রেন, ক্যানটিন, কফিহাউস...."লিনের ক্যাচটা দেখেছিস...জাস্ট ভাবা যায় না।"

First Published: Friday, April 25, 2014, 12:10


comments powered by Disqus